সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রয়াত সংগীত পরিচালক, সুরকার ও শিল্পী সুজেয় শ্যামের মরদেহ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ বড়দেশ্বরী শ্মশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
সুজেয় শ্যামের মেয়ে রুপা মঞ্জুরী শ্যাম লিজা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার, সংগীত পরিচালক ও শিল্পী হিসেবে সুজেয় শ্যামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে রুপা মঞ্জুরী শ্যাম লিজা বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমি এখনো কিছু জানি না। আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেননি।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান সুজেয় শ্যাম। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
সুজেয় শ্যাম দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। কিছুদিন আগে তার হৃদ্যন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। এরপর সুজেয় শ্যামের শরীরের ভেতরে সংক্রমণ হয়। সংক্রমণ পরে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন।
সংগীত পরিচালক ও সুরকার সুজেয় শ্যামের সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘শোন রে তোরা শোন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটির সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন তিনি।
সুজেয় শ্যাম সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ