বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্ব। গত ৩ মে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে করা এক পোস্টে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া এবং তার কক্ষ দখল করার অভিযোগ করেন তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম, শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু মোহন্ত ও কর্মী ইমন। এবার সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে থানায় অভিযুক্ত মিনহাজুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) মতিহার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মিনহাজ। শনিবার (১১ মে) রাতে মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদি মিনহাজুল ইসলাম আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং হলের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারি।
অন্যদিকে বিবাদী হলো, তাজবিউল হাসান অপূর্ব ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
মিনহাজ তার অভিযোগে লিখেন, গত ২ মে তাজবিউল হাসান অপূর্ব নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘তাকে হুমকি দিয়েছি ও রাজশাহীতে আসলে তার লাশ খুঁজে পায়া যাবেনা’ এরকম বক্তব্য লিখে স্ট্যাটাস দেই। এর পরদিন ৩ মে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে সেই স্ট্যাটাস পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার দেয়া ফোন কলের বক্তব্য অনুযায়ী নিউজ হয়। সে নিউজগুলোর কিছু অংশ তার ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার দেয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
তিনি লিখেন , ‘তাজবিউল হাসান অপূর্ব সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ও পূর্ব পরিকল্পনা করে আমাকে সামাজিক ভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ও আমার মান- সম্মান নষ্ট করার জন্য এটা করেছে। যার ফলে আমি সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
এছাড়া বিবাদীকে আইনের আওতায় এনে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ-শাস্তির ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করেন বাদি ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে সম্মানহানী করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে তিনি (অপূর্ব) মিথ্য ও বানোয়াট অভিযোগ এনে ও সাংবাদিকদের কাছে মিথ্য বক্তব্য দিয়ে আমার নামে নিউজ করিয়েছে। আমি যেটা করি নি কিন্তু আমাকে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে, আমি আইনের কাছে গিয়েছি যেন ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হয়।’
বিবাদী তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, ‘আমি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভাইকে বিস্তারিত জানাই। তিনি আমাকে এবং মিনহাজ ভাইকে একত্রিত করে দেন। দুজনের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘ভুলবোঝাবুঝি’ সমাধান করে দেন। এবং পরবর্তীতে সমাধান হওয়ার পর আমি একটি ফেসবুক পোস্ট করে সবাইকে জানিয়েছিলাম সমাধানের বিষয়টি। কিন্তু, গতকাল থানা থেকে অভিযোগের বিষয়টি আমাকে জানায়। সে (মিনহাজ) নিজের দোষ ঢাকার জন্য, ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে হ্যারাজমেন্ট করার জন্য থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) পলাশ বলেন, ‘অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হলে বিস্তারিত জানাবো।’