সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্টের বিরুদ্ধে বছরে ৭০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।



মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে হুমকীর মূখে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলেও তাদের সেবা দেওয়া হয়না। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদ করায় আমদানিকারকদের প্রশাসনের মাধ্যমে হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হয়। পরে সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলেন করেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, ২০১৯ সাল থেকে হঠাৎ ৭৮৩ টাকার পরিবর্তে ৮ হাজার টাকা মাশুল আদায় শুরু করে সোনামসজিদ পানামা পোট লিংক লিমিডেট। এছাড়া এসব অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না করে পানামা পোর্টের ব্যক্তিগত একাউন্টে জমার অভিযোগ করেন তারা। ফলে গত দেড় যুগে কয়েকশ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দরটি দ্বিতীয় হলেও ২০০৬ সালে বন্দরটি উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিওটি’র শর্ত মোতাবেক বন্দরের অভ্যন্তরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারেনি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। এছাড়া ফোর্ক লিফট, ক্রেন, রেকার, হেভিওয়েট স্কেলের মতো পূর্ণ সক্ষমতার লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে পারেনি পানামা।

আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কোম্পানির স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনায় আমদানী রপ্তানী কারকরা একদিকে যেমন আমদানীকৃত পণ্য খালাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারী রাজস্ব আদায় লক্ষমাত্রা অর্জণে ব্যর্থ হচ্ছে। আর তাই পানামা পোর্ট অপারেটরের যাবতীয় বিল ব্যাংক বুথে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত একাউন্টে জমা প্রদান, পানামার আভ্যন্তরীন পরিধি বৃদ্ধি, লোড-আনলোডে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং পানামার অভ্যন্তরে পণ্যবাহি ট্রাক থেকে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।

এসময় তারা আরও অভিযোগ করেন, লুটপাটের এসব টাকা স্থানীয় সাবেক এমপি সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল, তার ভাই সোহেল উদ্দীন আহমেদ পলাশসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাগবাটোয়ারা করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

এ বিষয়ে পানামা পোট লিংক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার বেলাল হোসেন জানান তার সরকারি ট্যারিফ অনুযায়ী মাসুল নেয়া হয়। এছাড়া অন্যন্য পোট থেকে মাসুল কম নেয়া হয়। বর্তমান অবকাঠামো অনুযায়ী যে সেবা দেয়া হয়না। তা পুননির্ধারন করা হবে।

বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে আল মদিনা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. দেলোয়ার হোসেন, জোহরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নূর আমিন, আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলমগীর জুয়েল, জেএন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাসিমসহ সোনামসজিদ আমদানী রপ্তানীকারক গ্রুপের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version