শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানী ও রপ্তানি বাড়াতে যৌক্তিক মাসুল নির্ধারণ ও সেবার মান বাড়ানোর দাবি করেছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের ২য় বৃহত্তম এ স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানী বানিজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবুও বন্দরের গতিশীলতা আনায়নে উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগই নেয় দ্বায়িত্বশীল কোন পক্ষের। বন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডে বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ, সেবার মান না বাড়লেও বেড়েছে বন্দরের বিভিন্ন খাতে খরচ।
এতে করে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় বাড়তি অর্থ। এসব কারণে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর ব্যবহারে অনিহা দেখান। যার প্রভাব পড়ে পুরো বন্দর কেন্দ্রীক অর্থনীতিতে।
তবে বন্দর পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকা পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই তারা বন্দর পরিচালনা করে আসছেন। বন্দরের বাড়তি অর্থ আদায়ের কোন সুযোগই নেই। সবকিছুই রশিদের মাধ্যমে ডকোমেন্টারি ভাবে নেয়া হয়। সেই সাথে সেবার মান বাড়াতেও তারা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।
আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন, মাসুম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মাসুম বিল্লা মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বধিকারী মামুনুর রশিদ, এসএম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বধীকারী জাকির হোসেন জানানসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা জানান, এই বন্দর দিয়ে আসা পাথর দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরবরাহ করা হয়। অথচ স্থলবন্দরের অতিরিক্ত চাঁদাবাজির কারনে আমরা ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে প্রতিটি পাথরের ট্রাকে পানামাকে চার্জ দিতে হতো ৭’শ ৮৩ টাকা। ২০১৯ সাল থেকে পানামা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পাথরের ট্রাকে অনৈতিকভাবে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আদায় করা শুরু করে। অন্যান্য পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে অতিরিক্ত ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করা হয়।
সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ অভিযোগ করেন,মাশুল সরকারী কোষাগারে জমা না করে পানামা পোর্টে ব্যক্তিগত একাউন্টে জমা দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মোতাবেক কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী আট বছরের মধ্যে বন্দরের অভ্যন্তরে সকল অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হয়নি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএনএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, আমদানী ও রপ্তান্তির ক্ষেত্রে পন্য বন্দরে প্রবেশ কিংবা ছাড় করার পূর্বেই অনলাইনে সকল প্রকার সরকারি ট্রাক্স ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। সরাসরি কোন আর্থিক লেদদেন এখন আর নেই, সবকিছুই অনলাইন হয়ে গেছে।
পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানন সরকার নির্ধারিত রেটেই টন প্রতি ১২১ টাকা ৯৮ পয়সা হারে মাশুল নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সোনামসজিদ পানামা পোর্টের জিএম বেলাল হোসেন জানান, আমরা ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী মাশুল গ্রহণ করি। অন্যান্য পোর্টের চাইতে আমরা কম অর্থ নিয়ে থাকি। তবে এখন আমরা যেসব বিষয়ে সেবা প্রদান করতে পারছিনা সেগুলো পুনঃনির্ধারণ করবো।