সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই আপের জন্ম। একসময় সোনিয়া গান্ধীর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের যে তালিকা তিনি তৈরি করেছিলেন, তাতে নাম ছিল রাহুল গান্ধীরও। অথচ গান্ধী পরিবারের সেই সদস্যরাই এবার ভোট দিলেন আপকে। শুধু ভোট দিলেন না, আপকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলে দিলেন, বিভেদ ভুলে জোটধর্ম পালন করতে পেরে তাঁরা গর্বিত।
সেই নেহেরু জমানা থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পর্যন্ত। দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে গান্ধীদের চার প্রজন্ম। কখনো ক্ষমতায়, কখনো বিরোধী শিবিরে। কিন্তু চার প্রজন্মের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথমবার গান্ধীরা ভোট দিতে পারলেন না কংগ্রেসকে। আসলে রাহুলদের নিজেদের ভোট যে নয়াদিল্লি কেন্দ্রে, সেই কেন্দ্রটি এবার জোট সূত্র অনুযায়ী গিয়েছে আপের ভাগে।
শনিবার (২৫ মে) দিল্লির নির্বাচনে সকাল সকালই ভোট দিতে যান রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী। ছেলেমেয়ে-সহ ভোট দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রবার্ট বঢরাও। ভোট দেয়ার পর সেলফিও তোলেন মা-ছেলে। অর্থাৎ গান্ধীদের তিন প্রজন্ম ভোট দিলেন এদিন। কিন্তু কেউই ভোট দিতে পারেননি হাত চিহ্নে।
নয়াদিল্লি কেন্দ্রটিতে এবার জোট সূত্র অনুযায়ী প্রার্থী ইন্ডিয়া জোটের। ভোটাধিকার যতই গোপনীয় হোক, গান্ধীরা যে ইন্ডিয়া জোটের আপ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বোধ হয় কারো মনেই সংশয় নেই। ভোটদানের পর স্বাভাবিকভাবেই হাত চিহ্নে ভোট দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট বলে দিলেন, “আমরা সব বিভেদ দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভোট দিচ্ছি। আর এটার জন্য আমরা গর্বিত।”
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন