মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সৌরজগত নিয়ে গবেষণা চলছে অনেক বছর ধরে। বিভিন্ন সময়ের গবেষণায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের মোট ছায়াপথ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেন নি। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, সৌরজগতে মোট ছায়াপথের সংখ্যা প্রায় দুই ট্রিলিয়ন, যা বিভিন্ন সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জানানো তথ্য থেকেও প্রায় ১০ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের নাইটিংহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস্টোফার কনসিলিস ও তার দল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে প্রায় ২০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন। যেখানে সৌরজগতে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ছায়াপথের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। ক্রিস্টেফার কনসিলিস বলেন, ‘আমাদের একটি চাওয়া ছিল এই বিশ্বব্রহ্মা-ে কতগুলো ছায়াপথ রয়েছে সেগুলোর প্রকৃত সংখ্যা বের করা, যেগুলো থেকে আমরা আলো পেয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘সৌরজগত নিয়ে গবেষণায় যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতো সেটার মাধ্যমে মাত্র ১০ শতাংশ ছায়াপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেত। এখানে আমরা গবেষণার ক্ষেত্রে আরো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি যেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ ছায়াপথের সন্ধান পাওয়া গেছে।’
কনসিলিসের গবেষক দলের সদস্যরা হাবল টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া ছবিগুলো থ্রিডি ম্যাপের সাহায্যে এক উজ্জ্বল আলোক রশ্মিতে রূপান্তর করেন। এই প্রযুক্তি তাদের ছায়াপথের ঘনত্ব জানার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রের আয়তন জানাতেও সহায়তা করছে। নাইটিংহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি’র ছাত্র ও গবেষক দলের সদস্য এরন উইলিকসন ছায়াপথ হিসাবের বিষয়টি খুব ভালোভাবে বিশ্লেষণ করছেন যেটা এই গবেষণার সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
যখন কনসিলিস ও তার দলের সদস্যরা নেদারল্যান্ডের লেইডিন বিশ্ববিদ্যালয় ও এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা শুরু করলেন, তখন তারা দেখলেন সৌরজগতের সৃষ্টির শুরুতে অনেক ছায়াপথ ছিল কিন্তু সেগুলো বিবেচনায় আনা হয় নি।
তিনি বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখলাম পৃথিবী সৃষ্টির কয়েক বিলিয়ন বছর পর সৌরজগতে বর্তমানে যে পরিমাণ ছায়াপথ আছে বলে ধরা হয় তার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি ছায়াপথ ছিল। কিছু কিছু ছায়াপথ ছিল গোলাকার ছোট ছোট পি-ের মতো।’
কনসিলিস বলেন, ‘আমরা এটা জেনে বিস্মিত হয়েছি যে, পৃথিবী সৃষ্টির ১৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন বছর পর ছায়াপথ বিভিন্নভাবে অন্য ছায়াপথের সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে আমরা ধারণা করছি, মহাকাশে একাধিকবার বির্বতন ঘটেছে এবং সে কারণে অনেক নতুন ছায়াপথের সৃষ্টি হয়েছে।’