সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত পদ্মার চর

আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০১৬, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

বাঘার চরাঞ্চলের দাদপুরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
আমানুল হক আমান, বাঘা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত অন্ধকারাচ্ছন্ন পদ্মার চরের ১৫টি গ্রাম এখন সৌরবিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে জ্বালাচ্ছেন এ সৌরবিদ্যুতের আলো। প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে নিম্ন আয়ের লোকজন চরের মধ্যে এমন সুবিধা ভোগ করছেন।
দাদপুর চরের হাইড্রোন বাংলাদেশ লিমিেিটড অফিস সূত্র জানা যায়, মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ইনফেকটাক্টর ডেভোলোপমেন্ট কোস্পানি লিমিটেড এর সহায়তায় এবং হাইড্রোন বাংলাদেশ লিমিেিটডের উদ্যোগে উপজেলার চরের বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুতায়ন হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১১ মার্চে উপজেলার সীমান্ত দাদপুর চরে দুই বিঘা দুই কাঠা জমির ওপর সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে উপজেলার পদ্মার ১৫টি চরে প্রথমে ছয় শতাধিক পরিবারকে বিদ্যুতায়ন করা হয়। পর্যায়ক্রমে চরে প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুতায়িত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় গ্রাহকের মধ্যে ফরম বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আলোকিত হচ্ছে এ চর।
সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সেলিম রেজার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় সীমান্তের মানুষের কাছে যা ছিল শুধু স্বপ্ন, আজ তা সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই চরের গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত হচ্ছে সৌরবিদ্যুতের আলোয়। বর্তমানে দাদপুর থেকে ১৪৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে পদ্মার চরের চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, পল্লী বিদ্যুতের চেয়ে সৌরবিদ্যুতের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তারপরও ব্যবহার করতে হচ্ছে। তিনি এ বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ