রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
কথা ছিল নানাবাড়ি থেকে ফিরেই তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই আনতে স্কুলে যাবে তাবাসসুম সুলতানা ঐশি এবং শিশু নাজমুস সাকিব অপেক্ষা করছিল স্কুল জীবনের প্রথম দিনটির জন্য। তাই দুই সন্তানকে নিয়ে বগুড়া থেকে দ্রুত বাড়ি ফিরছিলেন তাদের মা সুলতানা বেগম। অথচ তিনটি জীবন প্রদীপ একসঙ্গে নিভে গেলে চালকের উদাসীনতায়।
ঐশি নাটোর সরকারি বালিক উচ্চবিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মা-ভাইসহ বেড়াতে গিয়েছিল নানা বাড়ি বগুড়ার মোকামতলায়। কিন্ত আর ফেরা হলো না তাদের। স্ত্রী ও দুই সন্তানের একসঙ্গে এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাদের অপেক্ষায় থাকা স্বামী সাঈদুর রহমান লিখন। তার নিজের গাড়িতেই প্রাণ গেল প্রিয়জনদের। গতকাল রোববার সকালে শ্বশুরবাড়ি বগুড়া থেকে ফেরার পথে নাটোরের সিংড়ায় উপজেলার চৌগ্রামে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোলারবাতা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লিখনের নিজের গাড়ি লিখন পরিবহনের একটি বাস খাদে পড়ে শিশুসহ ৫জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ৩ জনই সাইদুর রহমান লিখনের পরিবারের। লিখনের স্ত্রী সুলতানা বেগম (৩৫), ছেলে শাকিব (৫) ও মেয়ে ঐশি (৭)। এছাড়া আরো দুইজনের মৃত্যু হয় এ দুর্ঘটনায়। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪ জন। এদিকে মা ও ছেলে-মেয়ের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নাটোরের বঙ্গজ¡েল।