স্তন্যদায়ী দুই নারীকে আটকে রাখায় পুলিশ সদস্যদের আদালতে তলব

আপডেট: মার্চ ২২, ২০১৭, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


দুধের শিশু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দুই মাকে ১৩ ঘণ্ট থানায় আটকে রাখার ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানার ওসিসহ দুই পুলিশ সদস্যকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
সদর থানার ওসি জিয়াউল মোরশেদ ও এসআই মো. মাহতাবকে আগামী ২৯ মার্চ আদালতে হাজির এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ঘটনার তদন্ত করে আগামী ৯ মের মধ্যে পুলিশ প্রধানকে প্রতিবেদনও দিতে বলেছে আ;দালত।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
অমানবিকভাবে দুই মাকে ১৩ ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনাকে কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে তা জানতে রুলও দিয়েছে আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিআইজি, মাদারীপুর পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রানা কাওসার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। এর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের সভানেত্রী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, অ্যাডভোকেট শোভানা বানু ও নাজনীন আরা আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তাপস কুমার বিশ্বাস।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রানা কাওসার সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ মার্চ মাদারীপুরের লক্ষ্মীগঞ্জে বিরোধপূর্ণ একটি জমির তদন্তে গিয়েছিলেন সদর থানার এসআই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি ওই জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চান।
“পনির কিছু জানেন না বলার পর এসআই মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে থাপ্পড় দেন। এনিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সদর থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ নিয়ে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালান মাহতাব।”
তখন পনিরের স্ত্রী ও ভাবিকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তখন পনিরের স্ত্রীর তিন মাসের শিশু এবং ভাবির ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে রেখে যেতে বাধ্য করে পুলিশ।
“পরে রাত ১২টার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়,” বলেন আইনজীবী রানা কাওসার।
তিনি বলেন, “একজন আইনি কর্মকর্তা হয়েও আইন বহির্ভূতভাবে দুধের বাচ্চাকে তার মার কাছ থেকে এভাবে দূরে রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং সংবিধান পরিপন্থি।”- বিডিনিউজ