সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। গত বছর বিপিএলে মাশরাফির দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টে মাত্র দুবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তিনি করেছিলেন ২২ রান। এর মধ্যে ছিল অপরাজিত ১৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩টি ম্যাচের পাশাপাশি সাতটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাইফউদ্দিনের। গত কিছুদিন ধরেই তাকে নিয়ে আলোচনা চলছিল নির্বাচকদের মধ্যে। পেস বোলিং করার পাশাপাশি ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারেন বলেই তাকে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেওয়া হয়েছে।
বাবার নিষেধ সত্ত্বেও ক্রিকেট ব্যাট কখনও হাতছাড়া করেননি ২০ বছর বয়সী সাইফউদ্দিন। ক্রিকেটে তার স্বপ্নের নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। টিভিতে তার ব্যাটিং দেখে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন প্রথম উঁকি দেয় ছোট্ট সাইফউদ্দিনের মনে। সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি, জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছেন।
সাইফউদ্দিনের স্বপ্ন, নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনের মতো অলরাউন্ডার হওয়ার। তার ‘ভবিষ্যত কোরি অ্যান্ডারসন’ হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হয়তো আজ থেকেই। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে তিনি রোমাঞ্চিত।
সাইফউদ্দিনের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্পটা বেশ নাটকীয়। বাবার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে এলাকার বড় ভাই অপুর কথা শুনে একদিন হুট করে চলে যান ট্রায়ালে। প্রথমবার ট্রায়াল থেকে বাদ পড়লেও দমে যাননি। দ্বিতীয়বার টিকে যান অনূর্ধ্ব-১৪ দলে। অনূর্ধ্ব-১৪ পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন তিনি। অন্যদিকে সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেন অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাইফউদ্দিনের প্রতিভার ছটায় আলোকিত হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বছর চারেক আগে হোম সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১২২ রান করেছিলেন তিনি।
ফিরতি সফরে ব্যাটিংটা ভালো না হলেও নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট। ২০১৫ সালের এপ্রিলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে অসাধারণ জয় উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এক ম্যাচ পরই টেল এন্ডারদের নিয়ে ব্যাটিং করে অপরাজিত ৩৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ছিনিয়ে এনেছিলেন দুর্দান্ত জয়।-বাংলা ট্রিবিউন