স্বাভাবিক হচ্ছে দেশ সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে

আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্য ‘ছন্দে ফিরছে রাজশাহী’। এটা স্বস্তির বার্তা। এ স্বস্তি রাজশাহীবাসীর জন্য যেমন-একইভাবে দেশবাসীর জন্য। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ধ্বংস চালায় দুর্বৃত্তরা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
সারা দেশে দুর্বৃত্তদের তা-বের সাক্ষ্য দিচ্ছে সরকারি ভবন ও স্থাপনাগুলো। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনার ওপর নৃশংস হামলা চালান হয়। ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। দেশজুড়ে এক নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০ জুলাই রাত ১২ টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয় এবং সেনাবাহিনি মোতায়েন করা হয়। এরপর থেকে ক্রমেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাকি অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। কারফিউ শিথিলের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনিসহ পুলিশ, র‌্যাব, বিজেবি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে চলেছে। বুধবার থেকে সরকারি অফিস, ব্যাংক-বিমা খুলে দেয়া হয়েছে। আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সড়কপথে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিকার থেকে ট্রেন চালুর কথা থাকলে পরে তা বাতিল করা হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোবাইল ইন্টারনেটও চালু হয়েছে।
তবে হাটবাজার ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলিতে সক্রিয়তা ফিরে আসছে। যদিও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার রেশটা এখনও আছে।
দুর্বৃত্তদের হামলা ও তা-বে যে নৃশংসতা হয়েছে এবং ক্ষতির কারণ হয়েছে তা এক কালো অধ্যায়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। এটা পরিস্কার হওয়া গেছে যে, দুর্বৃত্তরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এই তা-ব চালিয়েছে। টার্গেট করেই তারা সরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে। যে সম্পদ দেশের মানুষের। তাদের ট্যাক্সের অর্থ থেকেই সরকারি স্থাপনা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেই ধ্বংসযজ্ঞ সামলে উঠতেও জনগণের অর্থেরই প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ মোটের ওপর সন্ত্রাসী তা-বে দেশেরই মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির অবসান হওয়া দরকার। কোনোভাবেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। যারাই সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওয়ায় নিয়ে আসতে হবে। সেটা করা না গেলে সন্ত্রারীরাই উৎসাহিত হবে। দেশের মানুষ সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তদের দমন চায়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version