‘স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা II শিক্ষায় পদ্মাসেতুর চেয়ে বড় মেগাপ্রকল্প নিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :নগরীতে রাজশাহী জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেন, আমাদের শিক্ষা নিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, তা শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে অবশ্যই আগামীতে সমাধান করা হবে। সেটা করার জন্য প্রয়োজন বোধে আমাদেরকে শিক্ষায় পদ্মাসেতুর চেয়ে বড় মেগাপ্রকল্প হাতে নিতে হবে। এবং সে প্রকল্প শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নয়; আমাদের শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়ন করতে হবে, শিক্ষার্থীদের উপকারের জন্য। কারণ শিক্ষকদের দক্ষতা, মান, অভিজ্ঞতায় যদি আমরা বিনিয়োগ করি, তাহলে শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হবে। আর শিক্ষার্থীরা উপকৃত হলে বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ও অঙ্গীকার করেছেন, তা বির্নিমান সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে এ মতবিনিময় সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা একটি কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করছি। তাই যাত্রার মধ্যে গতানুগতিক চিন্তার বাইরেও ভাবতে হবে। শিক্ষাকে আমরা কিভাবে সার্বজনীন রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে আনতে পারি তা নিয়ে আমরা ভাববো।

মতবিনিময় সভায় ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাকাঠামোর মাধ্যমে দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে বৈশি^ক নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে করণীয় তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ সমাজকে নিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। একজন শিক্ষার্থীর কর্মজীবনে প্রবেশিকার বিষয়টা সারা পৃথিবীতেই পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীর যত প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আছেন, তারা এখন অনেকেই আর সনদ দেখতে চাই না। তারা দেখতে চাই সক্ষমতা। কাজটা করার সক্ষমতা তার আছে কি না? সেটা দেখতে চাওয়া হয়। কাজের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। কাজের নতুন নতুন সুযোগও তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বেঁধে রাখলে চলবে না। সামাজিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে কাজ করার যে দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাজ করে। কাজের পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণ করেন। আবার অনেকে একাডেমিক শিক্ষায় ‘গ্যাপ’ দিয়ে দক্ষতা অর্জনে বিভিন্ন কাজ করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সে ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিখতে শেখাতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান বাদশা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. অলীউল আলমসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় শিক্ষকরা শিক্ষকদের চাকুরির জাতীয়করণ, মাধ্যমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি, বেতন ও ভাতার সমস্যা দূরকরণ, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নানা দাবি তুলে ধরেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ