হঠাৎ করেই অস্থিরতা বাড়ছে, পরিস্থিতি উন্নয়নে রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন

আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে অস্থিরতা অনেকটাই কমে এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি কিছু সহিংসতা, মারামারি ও খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাতে কিংবা ভোরে কোথাও কোথাও ঘটছে গুপ্ত হামলাও। এসব ঘটনায় জনমনে অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন একের পর এক প্রকাশিতও হচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দেশে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন-অস্থিরতা লেগেই ছিল। নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও এসব বিশৃঙ্খলা দমনে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো কোনো সময় কঠোর হতে হয়েছে। সংকট কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ক্রমেই সক্রিয় হয়েছে। এতে এসব অস্থিরতা অনেকটাই কমে এসেছিল।
অপরাধমূলক প্রবণতার সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনেও অস্থিরতা বাড়ছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপি সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয় নি। এর ফলে সরকারের সাথে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের আস্থার সঙ্কটও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক মাঠ দখলের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের নেতাকর্মিরা হঠাৎ হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল বের করছে। আওয়ামী লীগের এই তৎপরতা সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষে সতর্ক ও কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেমন নতুন করে চলছে পুলিশের ধরপাকড়, তেমনি বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যরা একে-অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এমন পাল্টাপাল্টি বিভাজনে আবার রাজনৈতিক সহিংসতার তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবিক অবস্থা প্রকৃত অর্থেই ভিন্ন। আইনের ব্যত্যয় সৃষ্টি হয়েই চলেছে। অপরাধী চক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবোধ-প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত বাস্তবতা মেনে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে সবিশেষ নজর দেয়া উচিৎ হবে। মানুষের মধ্যেকার বিরাজমান উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিরসনে বিশেষ উদ্যোগি ভূমিকাই কাম্য হবে। সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক উদ্যোগও প্রয়োজন।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ