হত্যা মামলায় পলাতক আসামির ফাঁসির আদেশ

আপডেট: আগস্ট ২, ২০১৭, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরীতে কলেজ ছাত্র বিশাল হোসেন জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি রতন হোসেনের (২৬) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এই রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক রতন হোসেন।
দণ্ডিত রতন হোসেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি শেখেরচক এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। ওই মামলায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রতনের হাঁসুয়ার কোপে খুন হন রাজশাহী কলেজের সম্মান তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী জনি।
এদিকে, ওই মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ৮ আসামি। এরা হলেন, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রতনের বাবা সাইদুর রহমান (৪৫), ভাই স্বপন রহমান (২৪), চাচাতো বোন বুলবুলি খাতুন (২৫), চাচি রেহেনা বেগম (২৮), প্রতিবেশি মানিক হোসেন (৫০), মানিকের স্ত্রী পলি বেগম (৩০), মানিকের ছেলে শিমুল (১৮) ও বোন শিউলি বেগম (৩০)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ২৪ নভেম্বর নগরের পঞ্চবটি এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশি জনিকে অভিযুক্ত রতনের নেতৃত্বে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এর ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান জনি। এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জনির বড় ভাই বেলাল হোসেন। গত বছরের এপ্রিলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। মামলায় ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় দেন।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক ও অ্যাডভোকেট আবু বকর। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী এন্তাজুল হক। পরে এন্তাজুল হক বাবু গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি আঘাতেই জনির মৃত্যু হয়েছে। এই আঘাতটি করেছেন আসামি রতন। অন্য আসামিরাও তাকে মেরেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তা আসেনি। খুনের পর থেকেই রতন পলাতক।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ