হাইতিতে কলেরা: জাতিসংঘের ভূমিকায় ক্ষমা চাইলেন বান কি-মুন

আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০১৬, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক
হাইতিতে প্রাণঘাতী কলেরা প্রাদুর্ভাবে জাতিসংঘের ভূমিকার ব্যাপারে প্রথমবারের মতো দেশটির জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব বান কি-মুন।
বিবিসি বলছে, ২০১০ সালে নেপালি শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরা ছড়ায়। এর আগ পর্যন্ত দেশটি কলেরামুক্ত ছিল। ওই সময় থেকে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট এই রোগে দেশটিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
অবশ্য কলেরা ছড়িয়ে পড়া রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতার জন্য বান কি-মুন ক্ষমা চেয়েছেন, শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে ক্যারিবীয় জাতিটির মাঝে ওই রোগ ছড়ানোর জন্য নয়।
তিনি বলেছেন, “জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা হাইতির জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” তিনি বলেন, “হাইতিতে কলেরা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যতটুকু করা প্রয়োজন ছিল তা আমরা করিনি। আমাদের ভূমিকার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে হাইতি। ওই বছরই জাতিসংঘ ঘাঁটিতে পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন পর জাতিসংঘ ক্ষমা চাইলেও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আইনি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। কূটনৈতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে জাতিসংঘ বাধ্য নয়।- বিডিনিউজ