হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে যৌন নির্যাতনের শিকার প্রথম শ্রেণির শিশু || অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০১৭, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস


নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ভাদু (৩২) নামের এক বখাটে যুবকের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে প্রথম শ্রেণির এক শিশু। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জামনগরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের দৃশ্য ভুলতে না পেরে শিশুটি ভয়ে বারবার চমকে উঠছে। ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখন স্বাভাবিক হতে পারে নি সে। বর্তমানে শিশুটি নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এই ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানায় অভিযুক্ত ভাদুর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত তাকে আটক করতে পারে নি পুলিশ। অভিযুক্ত ভাদু একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। এদিকে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি প্রভাবশালী মহল। বিষয়টি মিমাংসা করতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শিশুটির পরিবার।
নির্যাতিত শিশুর মায়ের অভিযোগ, উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী সে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর বাড়ির পাশে খেলাধূলা করছিল শিশুটি। এসময় খাবার খাবারের লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী মুদি দোকানি ভাদু নিজের ঘরে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে শিশুটির মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে এবং এক পর্যায়ে শিশুটিকে কাউকে না জানানোর কথা বলে ছেড়ে দেয় সে। পরে শিশুটি মায়ের কাছে গিয়ে কাঁদতে থাকে। এসময় মা কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে ঘটনাটি খুলে বলে। ওইদিন বিকেলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তার ভ্যানচালক বাবাকে জানানো হয়। বাবা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুসকে জানালে তাঁর পরামর্শে ওইদিন বিকেলে থানায় নেয়া হয় শিশুটিকে। সেখানে ওসি প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে শিশুটিকে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার নিষ্পাপ শিশুটির উপর যে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে, সেই লম্পট ভাদুর বিচার চাই। তবে অভিযুক্ত ভাদু পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে চিকিৎসক নুজহাত নওরিন বলেন, শিশুটির উরুতে কালশিরা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।