সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে পালিয়ে যাওয়া অগ্নিদগ্ধ এক কিশোরের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নগরীর হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কিশোরের নাম নাভিদ ইসলাম (১৫)। সে মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার খাদেমুল ইসলাম-রিতা বেগম দম্পতির ছেলে।
হাসপাতাল প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো ওই কিশোরের মরদেহ রাজশাহীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে ভাসছিল। পরে স্থানীয়রা পাশে থাকা রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও রাজপাড়া থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ ও সদর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতের মা রিতা বেগম বলেন, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। কিছুদিন আগে সে নিজের শরীরে নিজেই আগুন দেয়। এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর তাকে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিলো। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তিনি ওয়াশরুমে গেলে এ সুযোগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নাভিদ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে তার ছেলের লাশ উদ্ধারের খবর পান। তার ছেলের মাথায় সব সময় আত্মহত্যার চিন্তা কাজ করত। নাভিদ কেন জানিনা বাঁচতে চাইত না।
লাশ উদ্ধারের পর রাজশাহীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হক বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সুরতহালের সময় দেখা গেছে এ কিশোরের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থান আগে থেকেই পোড়া ও ব্যান্ডেজ মোড়ানো।
তিনি আরও জানান, সে কীভাবে এখানে এলো আর কীভাবে পুকুরে পড়ে মারা গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই আপাতত তার মৃত্যুর কারণটি অস্পষ্ট। তারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন। তার পরিবারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।