শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আর এক সপ্তাহ বাকি। এই শেষ সময়ে এসে পরিচালিত জরিপে হিসপ্যানিক পুরুষ এবং কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে সমর্থন বেশি পেতে দেখা যাচ্ছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে। আর শ্বেতাঙ্গ নারীদের মধ্যে সমর্থন বেশি পাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস।
যে হিসপ্যানিকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ডেমোক্র্যাটরা সমর্থন বেশি সমর্থন পেয়ে এসেছে, তাদের সেই সমর্থন বিশেষত: পুরুষদের মধ্যে বলতে গেলে এবার ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে দিয়ে প্রায় উবেই গেছে। রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, এই হিসপ্যানিক পুরুষদের সমর্থনে আগের তুলনায় এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প।
হিসপ্যানিক পুরুষদের মধ্যে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ সমর্থন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষ হ্যারিসের (৪৬ শতাংশ) সঙ্গে ট্রাম্পের সমর্থনের ব্যবধান নেমে এসেছে মাত্র ২ শতাংশ পয়েন্টে। আর এর আগে ২০২০ সালে হিসপ্যানিক পুরুষদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে জো বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্প ১৯ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন।
১৬ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর রয়টার্স/ইপসোসের এই জরিপ পরিচালিত হয়। এতে হিসপানিক পুরুষদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন বাড়তে দেখা গেলেও শ্বেতাঙ্গ নারীদের মধ্যে তিনি সাড়া ফেলতে পারেননি, যে শ্বেতাঙ্গ নারীরা ২০২০ সালে বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্পকে সমর্থনে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে দিয়েছিল।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকানরাই সমর্থন বেশি পেয়ে আসলেও এবার সেই সমর্থন ঘুরে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হ্যারিসের দিকে, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে।
জরিপে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ নারীদের মধ্যে হ্যারিস পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ সমর্থন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ সমর্থন। দুইজনের মধ্যে ব্যবধান তিন পয়েন্ট। ফলে বলা যায়, দুইজনের অবস্থান হাড্ডাহাড্ডি।
নিউ জার্সির হিসপানিক এক ভোটার বলেছেন, তিনি ব্যবসায়ী হিসাবে ট্রাম্পের পেশাকে শ্রদ্ধা করেন এবং তাকেই ভোট দেবেন বলে স্থির করেছেন। এই ভোটার বলেন, “আমাদের দ্রুত চিন্তা করতে পারে এমন মানুষ দরকার। নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক মানুষ দরকার। তিনি একজন নেতা।”
যুক্তরাষ্ট্রে হিসপ্যানিক ভোটারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ১৯৭০ এর দশক থেকেই হিসপ্যানিক ভোটাররা বেশির ভাগ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদেরকে অনেক বেশি সমর্থন দিয়ে এসেছে। অথচ এবছরের নির্বাচনে তাদেরই উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত কয়েক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, নিবন্ধিত হিসপ্যানিক ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ সমর্থন, যা ২০২০ সালের একই সময়ে ছিল ৩০ শতাংশ। আবার কৃষ্নাঙ্গ ভোটারদের মধ্যেও এবার ট্রাম্প পেয়েছেন ১৮ শতাংশ সমর্থন, যা ২০২০ সালের একই সময়ে ছিল ১৪ শতাংশ।
সামাজিক বিষয়গুলোতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি খুবই চরমপন্থি- এই যুক্তি দেখিয়ে ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট দলে টানছেন বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রচার কৌশলবিদ ক্রিস্টিন ডাভিসন।
ওদিকে, হ্যারিস শ্বেতাঙ্গ নারীদের সমর্থন জিতে নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছেন। ২০২০ সালে ১০ জনে প্রায় চারজনই ছিল শ্বেতাঙ্গ নারী ভোটার, যা কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিসপ্যানিক ভোটারদের সম্মিলিত সংখ্যারও দ্বিগুণ।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ