সোনার দেশ ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। রইসির সহযাত্রী তথা সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থার পক্ষে দু’জনের মৃত্যুর খবর এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো না হলেও, সে দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রইসির নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই একটি শোকবার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ‘এই দুঃখের সময়ে’ ভারত ইরানের পাশে রয়েছে।
রোববারই (১৯ মে) জানা গিয়েছিল যে, পর্বতে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে রইসিকে বহসকারী হেলিকপ্টার। ওই হেলিকপ্টারেই ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল বলেও জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা।
ওই সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখনই হাল ছাড়ছি না। তবে যেখানে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।”
এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট রইসি যে কপ্টারে ছিলেন, সেটি পাওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের ছবিও দেয় সংবাদ সংস্থাটি। তাতে দেখা যায়, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারের ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। একাধিক গাড়ি ঘোরাফেরা করছে। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
ভেঙে পড়া কপ্টারটির অবস্থাও শোচনীয়। সেটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে তুবড়ে গিয়েছে। কপ্টারটিতে আগুনও ধরে গিয়েছিল। পোড়া অবস্থায় রয়েছে একাধিক অংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কপ্টারের কেবিন।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি আজারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানটি আজারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি।
জায়গাটি ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কি.মি উত্তর-পশ্চিমে। সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে এ-ও জানানো হয় যে, খুব দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা চালানো হলেও ইরান প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন