১০ দিন পর চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরো স্বাভাবিক না হওয়ায় ব্যবহারকারীদের অস্বস্তি

আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীসহ সারাদেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার পর মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমগুলোতে থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে মুঠোফোন চালু হলেও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হটসঅ্যাপ ও টিকটক চালু না হওয়ায় অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেটওয়ার্ক ধীরগতি সম্পন্ন হওয়ায় এখনো পুরোপুরি দুর্ভোগ কটে নি।

ব্যবহারকারীরা বলছেন, দেশের ৫টি অপারেটর কোম্পানির (বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, গ্রামীণফোন) সব সিম থেকে এখন ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ধীরগতির কারণে ডাটা ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছেন না। আর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় অস্বস্তি কাটছে না।

নগরীর ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মী সেহের আলী জানান, তার দায়িত্ব হলো, ক্লাইন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোবাইলের ইন্টারনেট থাকলে তিনি যে কোনো স্থান থেকেই সে যোগাযোগটা করতে পারেন। রোববার দুপুর ৩ টার পর তিনি চেষ্টা করেছেন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে যোগাযোগ করার। কিন্তু ধীরগতির কারণে স্বস্তি পাচ্ছেন না।

নগরীর রাণীবাজার এলাকার বাসিন্দা তাহরিমা খাতুন বলেন, ইন্টারনেট পাচ্ছি। একেবারে না থাকার চেয়ে ভালো। তবে ধীরগতির কারণে ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছি না। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সরকার দ্রুত এটিকে স্বাভাবিক করবে।
গৃহবধূ নিলুফা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রবাসী। আগে প্রতিদিনই ম্যাসেনজারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতাম। হঠাৎ দেশের এ পরিস্থিতির কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ভয় হচ্ছিলো। এখন ব্রডব্যান্ডে সংযোগ করে কিছু সময় কথা বলতে পারছি। মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরো সচল না হওয়ায় ব্যবহারও করা যাচ্ছে না।

এদিকে, রোববার সকাল ৯টায় মোবাইল ডাটা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, বন্ধ থাকা মোবাইল ইন্টারনেট বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই সময়ে যে গ্রাহকেরা মোবাইলে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন তারা তিন দিনের জন্য ৫ জিবি বোনাস ডেটা পাবেন।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেছিলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতেই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করতে চাচ্ছে। সে জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় নি। পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ