১৪ দলীয় জোটের উদ্বেগ খতিয়ে দেখা খুবই সঙ্গত

আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩, ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

দেশে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালানো হচ্ছে কি? সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা তেমনই ইঙ্গিত দেয়। বিষয়টি তেমন হলে উদ্বেগের কারণ বটে। এ উদ্বেগ ১৪ দলীয় জোটেরও। সাম্প্রতিককালে বারবার অগ্নিদুর্ঘটনা ও গ্যাস বিস্ফোরণকে সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে যে থানা লুট, পাটেরগুদামে আগুন দেয়া হয়েছিল তার সঙ্গে মিল রয়েছে বলে মনে করছে ১৪ দলীয় জোট। সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে ১৪ দলীয় জোটের অনুষ্ঠিত সভায় এমন সন্দেহ ও উদ্বেগ জানানো হয়।
ওই সভায় মন্তব্য করা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। এই জিনিসগুলো, অন্তর্নিহিত ব্যাপারগুলো সামনে আসলে বোঝা যাবে কে এর সঙ্গে জড়িত। এসব ঘটনা ধামাচাপা না দিয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে, দেশকে অস্থিতিশীল করার আত্মঘাতি তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়োিছল। বাম রাজনীতির নামে সারা দেশে সন্ত্রাস সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে গড়ার পরিবর্তে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যন্থ করতে একটি গোষ্ঠি ব্যাপক অস্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালিয়েছিল। সন্ত্রাসী গোষ্ঠি পরিকল্পিত উপায়ে সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, থানা লুটের মত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছিল। দেশের আইন-শঙ্খলা পরিস্থিতিকেও সন্ত্রাসীগোষ্ঠি ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিল। ওইসময় মানুষের নিরাপত্তা দারুণভাবে বিঘিœত হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই সারা দেশে নৈরাজ্য চালানো হয়েছিল।
৫০ বছর পর আবারো তেমনই আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরাতন নিয়মে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা বলে মনে হয়। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলিকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ১৪ দলের সভায় যে উদ্বেগ ও সন্দেহের প্রসঙ্গ এসেছে তা যাচাই করে দেখা সঙ্গত হবে। দেশের শত্রুরা কোনোভাবেই যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারেÑতা নিশ্চিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে বেশ সাফল্য দেখাতে পেরেছে। আমরা এ প্রত্যাশা করতে চাই যে, দেশে স্থিতিশীলতা নষ্টের সকল সব ধরনের অপপ্রয়াস নস্যাৎ করে দেয়া হবে। দেশের অগ্রসরমনতা কোনোভাবেই বিঘিœত হতে দেয়া যায় না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ