সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
বছরের প্রথমদিনেই জাপানে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) রিখটার স্কেলে ৭.৬ মাত্রায় তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান । এর পর থেকে ১৫৫ বার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে অনেকেই। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এএফপি সূত্রে খবর, কিশিদা জানিয়েছেন, ‘নতুন বছরের প্রথমদিনেই ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয়েছি আমরা। এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানিও ঘটেছে। প্রশাসন দ্রুত দুর্গতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।’ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সোমবারের পর থেকে ইশিকাওয়া ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় অন্তত ১৫৫ বার ভূ-কম্পন অনুভুত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৩-এর উপরে ছিল। জারি করা হয়েছিল সুনামির সতর্কতা। তবে এদিন সুনামির সতর্কতা তুলে নেয়া হয়।
জানা গিয়েছে, সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ইশিকাওয়া অঞ্চলে। প্রাণহানি হয়েছে ওয়াজিমা বন্দর সংলগ্ন এলাকায়। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাপানের সেনাবাহিনি তথা সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স। কিশিদা জানান, সেনাবাহিনির প্রায় হাজার সদস্য এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। সুনামি সতর্কতা ওঠে যাওয়ায় বিধ্বস্ত নোতো উপদ্বীপের দিকে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
সোমবারই এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে টোকিওর ভারতীয় দূতাবাস। একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। যেখানে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর ও একটি ইমেল আইডি দিয়ে জানানো হয়েছে, দূতাবাসের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ইশিকাওয়ার নোটো এলাকা কম্পনের উৎসস্থল। তার পরে কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী টোকিও থেকে শুরু করে একাধিক বড় শহরে। রাস্তায় ফাটল ধরেছে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকে পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সমুদ্রের ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু আপাতত সেই শঙ্কা দূর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন