রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য বিশেষ কর্মসূচি ডিভি (ডাইভারসিটি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রোগ্রাম) লটারিতে ২০১৯ সালেও অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি লটারি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে উচ্চহারে অভিবাসন হওয়ায় ওই দেশগুলোর নাগরিকরা এবারও লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ডিভি লটারি ২০১৯-এর আওতায় চলতি বছর লটারির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার বিদেশি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পাবেন। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত অভিবাসীরা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন।
যেসব দেশের নাগরিকরা ডিভি লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন না সেগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য (উত্তর আয়ারল্যান্ড ছাড়া) ও কানাডা রয়েছে।
ডিভির সুযোগ হারানোর এই তালিকায় আরও রয়েছে ব্রাজিল, চিন, কলম্বিয়া, ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, হাইতি, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, পেরু, ফিলিপিনস, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও নাইজেরিয়া।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যে সব দেশের অভিবাসীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, ডিভি লটারির ক্ষেত্রে সেসব দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ডিভি লটারি কর্তৃপক্ষ বলছে, আবেদনকারীর স্বামী/স্ত্রী যদি ডিভি লটারির আবেদনের যোগ দেশে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে সেই দেশকে ‘নেটিভ কান্ট্রি’ বিবেচনা করে ডিভি লটারি ২০১৯-এর জন্য আবেদন করা যাবে।
যুক্তরাজ্যের আবেদনকারীরা ডিভি লটারির জন্য আবেদন করতে না পারলেও উত্তর আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারীদের লটারিতে অংশ নিতে বাধা নেই। চিনের মূল ভূখ-ের বাইরে হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানে জন্মগ্রহণকারীরাও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
পাঁচ বছরে অভিবাসনের কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ার কথা বলে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১৮টি দেশের জন্য ২০১৩ সালের ডিভি লটারিতে অংশ নেয়ার সুযোগ বন্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ডিভি লটারির সুযোগ বন্ধই রয়েছে।
বিশ্বকে ছয়টি ভৌগলিক অঞ্চলে ভাগ করে কম্পিউটারভিত্তিক দৈবচয়নের মাধ্যমে মনোনয়নের কাজটি করা হবে। প্রতিটি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশ সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ ভিসা পাবে।
ডিভি ভিসা প্রক্রিয়া ‘কার্যকর ও নিরাপদ’ করতে ২০০৫ সাল থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক আবেদন পদ্ধতি চালু করে যুক্তরাষ্ট্র।- বিডিনিউজ