মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
২০২৩ সালে সাগরে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা মারা গেছেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন। এই মৃত্যু সংখ্যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণকালে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর জুড়ে প্রায় চার হাজার পাঁচশো রোহিঙ্গা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠে। তারা হয় বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প অথবা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছে।
বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে যারা ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভিন্ন দেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি ৮ জনে একজন হয় মারা গেছেন না হয় নিখোঁজ হয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছেন তাদের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। তারা বসবাস করছে ক্যাম্পে। ৩ বছর আগে মিয়নামারের নেত্রী অং সান সুচিকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এরপরই শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন।
গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এক হাজার পাঁচশোর বেশি রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে কাঠের নৌকায় করে অবতরণ করে। এসময় সাগর সাধারণত শান্ত থাকে।
কিন্তু আগে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হলেও সম্প্রতি তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় মানুষ এখন আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়। সেখানে রোহিঙ্গাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, জাগোনিউজ