৩০ বছর পর শেষ হল ‘সোনার পেঁচার’ খোঁজ, কত কোটি টাকা এর দাম

আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ১:১০ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


ফ্রান্সের কোনও এক জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এই সোনার পেঁচাটির রেপ্লিকাকে। এটিকে খুঁজতে সময় লাগল ৩০ বছর। কোনও গুপ্তধন সন্ধানে এটাই দীর্ঘতম অভিযান বলে গণ্য করা হচ্ছে।

‘সার লা ডি লা চোয়েতে বি’অর বইটি লিখেছিলেন ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন। ১৯৯৩ সালে বইটি প্রকাশের আগে সোনা ও রূপা দিয়ে বানানো এই পেঁচাটির মূর্তি বানান তিনি। ওই মূর্তির অনুরূপ ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি আরেকটি মূর্তি বানিয়ে লুকিয়ে ফেলেন তিনি।

ফ্রান্সের মেইনল্যান্ডের কোনও এক স্থানে অতি গোপনে লুকিয়ে রাখা হয় এটা। শর্ত ছিল, যিনি নকলটিকে খুঁজে পাবেন তিনিই আসলটির মালিক হবেন।

ওই পেঁচার অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল চ্যাটলাইনে একটি পোস্টে বলা হয়, সোনালি পেঁচার রেপ্লিকা রাতে পাওয়া গেছে।’ এই পোস্টটি করেন মিশেল বেকার। তিনি দ্য হান্ট ফর দ্য গোল্ডেন আউল বইটিতে ছবি এঁকেছিলেন। পেঁচার ছবিটিও এঁকেছেন তিনি। তবে এই পোস্টের পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারা যায়নি। তাই কোথা থেকে পেঁচাটি পাওয়া গেছে তা জানা যায়নি।

২০০৯ সালে মারা যান ভ্যালেন্টিন। তবে একটি গোপন খামে ভরে রেখে যান যাবতীয় সূত্র। কিন্তু সেটাও এখন তাঁর পরিবারের সম্পত্তি। আরেকটা সূত্র ছিলেন বেকার। কিন্তু বছর চারেক আগে সমালোচনা শুরু হয় যখন তিনি এটি বিক্রির চেষ্টা করেন।

আদালত তাঁর এই অপচেষ্টা রোধ করেন এবং ঘোষণা করে যে নকলটির সন্ধানকারীকেও আসলটি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। একটি ডকুমেন্টরিতে বলা হয়, সোনার পেঁচাটির আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ ইউরো।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version