বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইদুল আজহার এক সপ্তা বাকি। ইতোমধ্যে রাজশাহীতে জমতে শুরু করেছে পশুর হাটগুলো। স্বাদ আর সাধ্যের মিলে পছন্দের কোরবানির পশু কিনেছেন ক্রেতারা। পশু হাটগুলোতে ৩৩ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা মণ টার্গেটে কেনা বেচা হচ্ছে কোরবানির পশু। সোমবার (১০ জুন) রাজশাহীর পবা উপজেলার মাসকাটাদিঘী স্কুল মাঠে বসেছে পশুর হাট। হাটটিতে দুপুরের পরে আসতে শুরু করে কোরবানির পশু। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে জমে উঠে কোরবানির পশু কেনাবেচা। হাটের বেশির ভাগ গরু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাসা-বাড়িতে লালন পালন করা বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীতে এবছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি। এরমধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। আর পবিত্র ইদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এ বছর রাজশাহীতে কোরবানি-যোগ্য চার লাখ ৬৬ হাজার ১শো৯৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে।
হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তার মধ্যে দেশি জাতের ষাড়গুলোর চাহিদা বেশি। হাটে ৭০ থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে দাম এমন গরুর চাহিদা বেশি। আর মাঝারির মধ্যে সাত ভাগের হিসেবে ১ লাখ ৪০ থেকে ৪৫ হাজারের মধ্যে এমন গরুর ক্রেতাও তুলনামূলক বেশি। তবে হাটে ২ লাখ বা তার বেশি দামের গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম রয়েছে পৌরসভার এই হাটটিতে।
হাটে কোরবানির গরু ক্রেতা মুরাদ হোসেন জানান, কোরবানির গরুর দামের চেয়ে বড় বিষয় পছন্দ। হয় ২ হাজার টাকা বেশি হবে। না হয় ২ হাজার টাকা কম হবে। পছন্দ হলে ২-৩ হাজার টাকা বাধে না। হাটে তিন মণ ওজন টার্গেটের গরুর দাম বিক্রেতারা চাচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। একটা গরুর দাম ৮৫ হাজার টাকা বলেছেন তিনি। কিন্তু দেয়নি বিক্রেতা।
১ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকায় সাড়ে চার মণ টার্গেটে গরু কিনেছেন জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুটির মাংস কতটুকু হবে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে সাড়ে ৪ মণ হবে। প্রথমে গরুর দাম চেয়েছিল দেড় লাখ। আমরা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাম বলি। পরে দামাদামির এক পর্যায়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকায় গরুটি কেনা হয়। যেহেতু তাদের (ক্রেতা) বাড়িতে গরু রাখার জায়গা নেই। তাই গরুর মালিক শামসুর ইসলাম চাঁদ রাত পর্যন্ত লালনপালন করে দেবেন।
কাটাখালী হাটের ইজারাদারা জানান, এখানে শুধু পশু ছাড় করা হয়। দাম লেখা হয়। তবে কে কত মণ টার্গেটে গরু কিনলো সেটা তারা বলতে পারবেন না। এটা ক্রেতা-বিক্রেতারাই ভালো জানেন।