শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
পচন ধরে মুখের মাংস শুকিয়ে হাড় বেরিয়ে গেছে। মুখোশটা বুকের ওপর রাখা। হাড়গোড়ও জীর্ণ। বয়সের ছাপ স্পষ্ট। শনিবার এই অবস্থা দেখে চিন্তিত বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। হতাশও। হওয়আরি কথা যদিও। ইউরোপ, আমেরিকার বাইরে মাত্র কয়েকটি দেশের রয়েছে এই মিশরীয় মমি। তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতের ৬টি যাদুঘরে রয়েছে এই মমি। কলকাতার যাদুঘরে রাখা মমির বয়স প্রায় ৪০০০ বছর। আপাতত একটি বিশেষভাবে তৈরি কাচের বাক্সে রাখা রয়েছে মমিটি। কিন্তু অক্ষত অবস্থায় রাখার জন্য তা যথেষ্ট নয়। শিগগিরই এই মমি নতুন করে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এজন্য লখনউয়ের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অ্যান্ড ন্যাশনাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি ফর কনজারভেশনের সাহায্য চাইবে কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম। সাহায্য করবে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বাস্তু সংগ্রহালয়–এর বিশেষজ্ঞ দল।
১৮৩৪ সালে কলকাতায় এই যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে এশিয়াটিক সোসাইটি। এশিয়াটিক সোসাইটিকেই এই মমি উপহার দেওয়া হয়। ১৮৮২ সালে জাহাজে চাপিয়ে সেটিকে কলকাতায় আনা হয়। জাহাজের কর্মীরা যদিও মমিটিকে আনতে রাজি হননি। পরে এক অফিসারের হস্তক্ষেপে ব্যাপারটা মেটে। মিশরের গুরভাহ্তে এক রাজার সমাধি থেকে মেলে এই মমি। প্রশ্ন উঠছে, ইতিহাসের এ রকম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে কেন এত হেলাফেলা? কলকাতার যাদুঘরের কর্তারা যদিও জবাব দিতে পারেননি।-আজকাল