মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ। তার পর ‘চাকরি’। বেতন মাসে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু কিসের কাজ? মোবাইল ফোন চুরির। দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করার পর এমনই বিস্ময়কর তথ্য পেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের পুলিশ। গুজরাট পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোন চুরির ওই চক্র কাজ করত বিভিন্ন রাজ্যে। ভিড়ের মধ্যে থেকে কারো মোবাইল ফোন গায়েব করে ভিন্দেশে পাচার করা ওই চক্রের কাজ। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
গুজরাটের আমদাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে যে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা ঝাড়খণ্ডে ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। সুরাতে কিছু দিন থাকছিলেন তাঁরা। এক জনের নাম অবিনাশ মাহাতো (১৯) অন্যজন শ্যাম কুর্মি(২৬)। দু’জনের কাছ থেকে মোট ২৯টি আইফোন এবং ন’টি ওয়ান প্লাস ফোন পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানায়, মোবাইল ফোন চুরির পর সেগুলি ‘আনলক’ করে বাংলাদেশ এবং নেপালে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল তাঁদের ওপর। এই কাজের জন্য মাসিক বেতন পেতেন তাঁরা। ধৃতেরা এ-ও জানায়, তাঁদের ৪৫ দিনের মোবাইল ফোন চুরির প্রশিক্ষণ হয়। তার পর এই ‘চাকরি’ দেয়া হয়।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তদের পরিকল্পনা খুব সহজ। কোনো ভিড়ের মধ্যে দু’জন করে মিশে থাকতেন। এক জনের চোখ থাকে কারো ব্যাগ কিংবা পকেটে। তিনি মোবাইল ফোন চুরির সঙ্গে সঙ্গে সেটা হাতবদল করতেন সঙ্গীকে। সেখান থেকে প্রথমে মোবাইল ফোর ‘আনলক’ করা হতো। তার পর চালান করা হতো ভিন্দেশে। আবার এক জন কেউ ধরা পড়লে অন্য সঙ্গী চম্পট দিতেন ঘটনাস্থল থেকে। এই ভাবেই চলতো ‘চাকরি’। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজা অনলাইন