৫৫ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করছেন জমির উদ্দিন

আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ৯:২০ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী):


৫৫ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে আইসক্রিম (বরফ) বিক্রি করেন জমির উদ্দিন (৮২)। বাঘা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাওপাড়া গ্রামের মৃত কানু কারিগরের ছেলে তিনি।
জমির উদ্দিন জানান, আগে মাথায় করে গ্রামে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করতেন। সময় পরিবর্তনের সাথে ও বয়সের ভারে ভ্যানের সাথে টিনের আবরণ দিয়ে ঢাকা কাঠের বাক্স নিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেন। মাঝে মাঝে হাঁক দিচ্ছেন ‘বরফ, মালাই বরফ’। এই কথা শুনে তার কাছে ছুটে আসে শিশু ও নানা বয়সীরা।

আড়ানী পৌর বাজারে গোবিন্দ শীলের সেলুনের সামনের রাস্তায় জমির উদ্দিনের সাথে কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার বছর থেকে আইসক্রিম বিক্রি শুরু করেন। এখন পর্যন্ত এই পেশাতে রয়েছেন।

প্রতিদিন সকালে কারখানা থেকে বাক্সে করে আইসক্রিম কিনে আনেন। তারপর গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। শুরুর দিকে ৫ পয়সায় একটি আইসক্রিম বিক্রি করেছেন। পর্যায়ক্রমে ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা করে আইসক্রিম বিক্রি করেছেন। এখন ৫ টাকা ও ১০ টাকায় আইসক্রিম বিক্রি করেন।

এক সময়ে ডিম, চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, মৌসুমি ফসলের বিনিময়ে আইসক্রিম বিক্রি করেছেন। জমির উদ্দিন আইসক্রিম বিক্রি করে দুই ছেলে ও ৪ মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। তারা সবাই এখন আদালাভাবে সংসার করেন। এই ব্যবসায় তার স্ত্রী রশিদা বেগম সার্বিক সহযোগিতা করেন। তার বাড়ি উপজেলা সদরের বাঘা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাওপাড়া হলেও তিনি আড়ানী পৌর এলাকায় দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, দুধ, চিনি, নারিকেল, বিস্কুট দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করে নিই। এগুলোর চাহিদা বেশি। বয়সের কারণে ওজন বহন করতে সমস্যা হয়। তাই আইসক্রিম কারখানা থেকে ভ্যানের সাথে টিনের আবরণ দিয়ে ঢাকা কাঠের বাক্স নিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করি।

এ বিষয়ে আড়ানী পৌর এলাকার শিরিন সুলতানা বলেন, জমির উদ্দিন চাচাকে দীর্ঘদিন ধরে আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখে আসছি। আগে স্কুলের গেটের সামনে থেকে তার কাছে থেকে আইসক্রিম কিনে খেয়েছি। তার পেশার প্রতি ভালবাসা রয়েছে বলে এতো দিন ধরে তিনি একই পেশায় আছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ