৬০ শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে হাত ধোয় না সঠিক হাতধোয়া বাধ্যবাধকতা হিসেবে মানতে হবে

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারির এই সময়ে জীবন সুরক্ষার লড়াইয়ে নিয়মিত হাত স্যানিটাইজ করা এবং সাবান দিয়ে দিয়ে হাতধোয়ার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব লাভ করে। বলা যায় এর সুফল পাওয়া যায়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এই অভ্যেস মানুষকে সুরক্ষা দিয়েচে। কিন্তু বাস্তব জীবনে জীবাণু থেকে সুরক্ষার জন্য বিধিবদ্ধ নিয়মগুলো আমরা কতজন মানি? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবারের ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১’ উপলক্ষে স্যাভলন আয়োজন করেছিল একটি সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্টের। দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী একটি অনলাইন গেইমের মাধ্যমে ঠিক কতজন হাত পরিষ্কার করার নির্ধারিত সময় মানছে তা তুলে ধরা এবং সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা। অনলাইন এ গেইমটিতে মোট ৫৩ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করেছিলো এবং বাকি ৬০ শতাংশ মানুষ ২০ সেকেন্ডের কম অর্থাৎ সঠিক নিয়মানুযায়ী হাত পরিষ্কার করেনি। এ তথ্য থেকে বুঝতে সুবিধা হয় না যে, হাতধোয়ার ব্যাপারে মানুষ এখনো অসচেতন। সঠিকভাবে হাত না ধোয়ার কারণে নানান জীবাণু থেকে মানুষ সংক্রমিত হয়ে বিভিন্ন প্রাণঘাতি অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ জন্য সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। সঠিকভাবে হাত ধুলে হাত জীবাণুমুক্ত হয়। এবং খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। ঠিকমত হাত ধুলে নানান অসুখের কারণে শিশুমৃত্যুর হারও অনেকটা কমানো যায়। এছাড়াও নানান জীবাণু থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং ডায়রিয়া সংক্রান্ত রোগ সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহজপন্থায় প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়রিয়া সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ এবং ৫০ শতাংশ শ্বাসকষ্টজনিত মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মি সঠিকভাবে হাত ধোয় না ফলে অনেক জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মধ্যে হাত ধোয়ার সুস্থ অভ্যাস তৈরি করার জন্য পারিবারিক সচেতনতার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা বাঞ্ছনীয়।
বর্তমান কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মিরা হাতধোয়ার ব্যাপারে অধিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধোয়ার ফলে দেখা গেছে দেশের মানুষ করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেয়েছে। তাই নিয়মিত হাত স্যানিটাইজ করা এবং সাবান দিয়ে দিয়ে হাতধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে ব্যক্তি পর্যায়ে বাধ্যবাধকতা হিসেবে মানতে হবে।