সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীতে ৭ বছরে বাস্থবায়ন হয় নি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হাট প্রকল্প। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে নির্ধারিত হাট না থাকায় কেনা বেচা করতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
স্থানীয়রা বলছে জমি অধিগ্রহন না করে ছোট যমুনা নদীর চরে ২০১০ সালে বদলগাছী হাটের নামে মাটি ভরাট করে এ প্রকল্পটি শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে জমির মালিকরা আইনী প্রক্রিয়া গেলে বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম। স্থানীয় প্রশাসন বলছে প্রকল্পটি শেষ করে হাট চালু করার চেষ্টা চলছে ।
জমির মালিকরা জানান, কোন প্রকার পরিকল্পনা ও জমি অধিগ্রহণ ছাড়া বদলগাছীর যমুনা নদীর চরে কর্মসৃজন ও দরিদ্র বান্ধব প্রকল্পের প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১০ সালে মাটি ভরাট করা হয়। সে সময় নদীর চরে মাটি ভরাট করা জমির মালিকরা তাদের ক্ষতি পুরন দেওয়ার দাবী করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। এ দাবীকে পাশ কাটিয়ে চলতে থাকে ভরাটের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিকরা বলছেন জমি অধিগ্রহন ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মামলায় যান তারা। কথা হয় জমির মালিক নির্মল কুমার জানান, আমরা হাট চাই তবে জমির নায্য দাম দিলে ছেড়ে দিব হাটের জায়গা একই কথা বলেন আরেক জমির মালিক মোস্তাকিম। তিনি আরো বলেন, আমরা নায্য ক্ষতিপুরন পেলে মামলা তুলে নিবো।
বর্তমানে মাটি ভরাট করা জমির উপর বাড়ী ঘর নির্মান করে দখল নিয়েছে জমির মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় সরকারের কোটি টাকার এ প্রকল্প আজ ভেস্তে যেতে বসেছে । স্থানীয় সাংবাদিক ওয়াজেদ আলী জানান, বদলগাছীতে হাট খুব প্রয়োজন সে কারণে এখানে হাট তৈরি করাটা সবাই ভাল ভাবে নিয়েছে। তবে পরিকল্পনা আর জমি অধিগ্রহন না করা ছিল অসৎ উদেশ্য যার ফলে আজ এ অবস্থা। অন্যদিকে বদলগাছীতে নির্ধারিত হাট না থাকায় থানা মোড়ে বসছে হাট। এতে কেনা বেচায় ভোগান্তি রয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন বদলগাছীতে একটি হাট অত্যান্ত জরুরী তবে পরিকল্পনা না নিয়ে হাট নির্মান এমন প্রকল্প গ্রহন ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহম্মেদ রুমী চৌধুরী বলেন, সে সময় শুধু ক্ষমতার জোর দিয়ে এমন হটকারী কাজ করা হয়েছে। সাত বছর পার হলেও উপজেলা প্রশাসন এখনো আশাবাদি নদীর চরে হাটটি সচল করার। জমি অধিগ্রহন করে হাট লাগানোর আলোচনা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুশাইন শওকত। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে নদীর বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় হাটটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তবে সমন্বয় মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বদলগাছীতে শনিবার ও বুধবার প্রায় কোটি টাকা সবজি কেনা বেচা হয়। নির্ধারিত একটি হাট দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছে এলাকাবাসী।