অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ

আপডেট: মার্চ ১, ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুত্তিযুদ্ধের সময়ে নানা কারণে মার্চ মাস ঐতিহ্যমণ্ডিত এবং অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস।
উনিশ শ একাত্তরে এই মাসের পঁচিশে মার্চে বর্বর পাকস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেফতার হবার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এর আগে জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “১৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবানা। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”

১৯৭১ এর ৭ মার্চ রেসর্কোস ময়দান- আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ওই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লক্ষ কন্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারিত হতে থাকে দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পত-পত করে উড়ছিলো সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের পতাকা।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিল- সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপরে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয়দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বারতা। এ বছরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে ২৫ মার্চ দিনগত রাত একটার অল্প পরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে।

২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কন্ঠ চিরতরে স্তব্দ করে দেয়ার লক্ষ্যে ‘ অপারশেন সার্চলাইট ’ নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতষ্ঠিানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।

এর পরের ঘটনাপ্রবাহ প্রতিরোধের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আহবানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবণিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বের বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।