‘অতি বাম অতি ডান সবই এক হয়ে গেছে, কীভাবে হলো জানি না’

আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে দেশের কিছু রাজনৈতিক দেউলিয়া, যারা একেবারেই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া—এদের কিছু বক্তব্য; আর আমাদের দেশের কিছু আছে বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন, সেই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা অনবরত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিবত গাচ্ছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এ দেশের অতি বাম, অতি ডান সবই এখন এক হয়ে গেছে। এটা কীভাবে হলো জানি না। এই দুই মেরু এক হয়েও সারাক্ষণ শুনি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অপরাধটা কী আমাদের?

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদ-ক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য-অর্জন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ-মৃত্যুর হার কমিয়েছি, শিশু-মৃত্যুর হার কমিয়েছি। সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ঘরের কাছে চিকিৎসা-সেবা নিয়ে গেছি। শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি রয়েছে। সব-দিক থেকেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে-আছি কোথায় আমরা? প্রবৃদ্ধি-বৃদ্ধি করেছি, মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করেছি।

সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার অতিমারি। এরপর আসে ইউক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। এসব সমস্যার কারণেই কিন্তু আমরা নয়, সারা পৃথিবী, এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। ২০০৮ সালর নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা একধাপ ওপরে তুলবো। রূপকল্প ২০২১ আমরা ঘোষণা দেই, দিন বদলের সনদ আমরা ঘোষণা দেই। আজ দিন বদল ঘটেছে।

তিনি বলেন, সবসময় আমরা লক্ষ রেখেছি তৃণমূল মানুষ, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। আজ কেউ বলতে পারছেন না যে গ্রামে দারিদ্র্য আছে। এখন বলে শহরে দারিদ্র্য। এখন অদ্ভুত এক হিসাবে দেখা যায়, দারিদ্র্যের- হার শহরে বেড়ে গেছে, গ্রামে না। অথচ এক সময় গ্রামের মানুষ একবেলা ভাত খেতে পেতও না। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। রোগের চিকিৎসা পেতও না। শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত ছিল। আমাদের উন্নয়নে তৃণমূল মানুষের দিকে লক্ষ রেখে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলা-উপজেলা গৃহহীন, ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা দিয়েছি। অল্প কিছু বাকি আছে, সেগুলোও শিগগিরই হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কোনও মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version