আজ রোববার নর্থ বেঙ্গল সুগার-মিলে গণহত্যা দিবস

আপডেট: মে ৫, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

স্মৃতিস্তম্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


আজ রোববার ৫ মে উত্তরবঙ্গের ভারি শিল্প নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস। মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল সহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায়-দিবসটি পালন করে আসছে।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক-হানাদার বাহিনী সুগার মিল অবরুদ্ধ করে তৎকালীন-প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিমসহ ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ শতাধিক বাঙালিকে ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার পর শহিদদের সলিল সমাধির নীরব সাক্ষী গণহত্যা স্থলের পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ সাগর’।

এছাড়া শহিদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম সহ ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামের তালিকা আছে। স্মৃতিস্তম্ভের সামনে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আর মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম এর নামে আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়। লালপুর বাসীর জন্য এটি একটি শোকাবহ দিন।

মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সারাদেশে মিলের কল কারখানা বন্ধ থাকলেও হানাদার বাহিনীর নাটোর ক্যাম্পের মেজর শেরওয়ানি খানের আশ্বাসে এবং এলাকার আখচাষীদের স্বার্থ বিবেচনা করে মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম মিলের উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর মেজর তার ওয়াদার বরখেলাপ করে। পরে বর্বর পাকবাহিনী মিলের সবগুলো প্রবেশ পথের দরজা বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবরুদ্ধ করে এবং অবাঙালিদের যোগসাজশে শতাধিক বাঙালিদের শনাক্ত করে মিলের গোপাল পুকুর (বর্তমান শহিদ সাগর) পাড়ে নিয়ে যায়।

সেখানে তাদের চোখ বেঁধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ গুলো ওই পুকুরের ফেলে দেয়। ওই দিনই হানাদার বাহিনী গোপালপুর বাজার এলাকায় আরো সাত জন বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে।

Exit mobile version