আদমদীঘিতে স্বামী-ভাসুরের নির্যাতন, গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৪, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার আদমদীঘিতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের তালশন গ্রামে স্বামীর বাড়িতে শয়নঘরের ফ্যানের সাথে ওড়নার ফাঁস দিয়ে লাভলী বেগম লিবেন (৩০) নামের গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় দুপুরেই নিহতের স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন ওই গৃহবধূর বাবা সান্তাহার ইউপির উথরাইল জাহানাবাজ গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডল।

আদমদীঘিতে দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ১৫ বছর আগে লাভলী বেগমের সাথে আবুল কাশেম মন্ডলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই গৃহবধূ লাভলীকে মারপিট করতো তার স্বামী কাশেম। এদিকে ওই গৃৃহবধূকে নানা ধরনের অপমানজনক কথা এবং গলায় ফাঁস দিতে বলতেন তার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) দুলাল হোসেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে তার স্বামী লাভলীকে মারপিট করছিলেন। সেজন্য তিনি তার বাবাকে মোবাইল ফোনে স্বামীর বাড়িতে দ্রুত ডেকে নেন। মেয়ের বাড়িতে তার বাবা আসলে মেয়ে জামাই ও তার বড় ভাই দুর্ব্যাবহার করায় তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে তার ছেলে পারভেজ ওই বাড়ীতেই অবস্থান করছিলেন। এরপর ওই গৃহবধূর স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যান। কিছু পর তিনি ফিরে এসে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলো তার স্ত্রী। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে মেয়ে জামাই আবুল কাশেম মন্ডল এবং তার বড় ভাই দুলালের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দিয়েছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version