মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতের নির্দেশ আমান্য করায় পাবনা জেলার আমিনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রওশন আলীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৬ আগস্ট নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে আটক করে একটি মামলা দায়ের করেন ওসি রওশন আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত মামলার সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের তলব করেন। মামলার আই.ও এবং অন্যান্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও ইনফরমেন্ট সাক্ষী হিসেবে আমিনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রওশন আলী কোন কারণ উল্লেখ ছাড়াই পর পর ছয়বার আদালতে অনুপস্থিত থেকেছেন।
২০২১ সালে ৪ বার এবং ২০২২ সালে ২ বার অনুপস্থিত থাকেন তিনি। এরপর আদালত স্বেছায় প্রণোদিত হয়ে তার মোবাইলের হুয়াটস এ্যাপে আদালতের সামনের ছবি পাঠান। তিনি তাতেও কোন উত্তর না করে ইচ্ছাপূর্বক সাক্ষ্য দানে বিরত থাকেন। ফলে মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবার পাশাপাশি মামলাটি নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আদালত সূত্র জানায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালতের সমন বা প্রসেসকে ইচ্ছা পূর্বক প্রত্যাখ্যান করে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৮৫-এ ধারা মতে অপরাধ করায় আদালত তার অপরাধ আমলে নিয়ে ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধে পৃথক মিস মামলা খোলার আদেশ দেন। সেই সাথে আদালতের নির্দেশ মত সাক্ষ্য প্রদানে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৮৫এ ধারার বিধানে কেন সাক্ষী রওশন আলীকে শাস্তি প্রদান করা হবে না সেই মর্মে আগামী ধার্য্য তারিখের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত। উল্লেখ্য ওসি রওশন আলী ইতোপূর্বে সাইবার ট্রাইব্যুনাল ২৪/১৫ মামলায় আদালতের সমন অবজ্ঞার করে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এবিষয়ে আমিনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রওশন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সঠিক সময়ে সমন না পেলে কি করে আদালতে উপস্থিত হবো। ২৪/১৫ মামলায় আদালতে কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি।