আবারও সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসির ছাগল কান্ড

আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ৭:২৮ অপরাহ্ণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:


এবার ছাগলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফুলের গাছ খাওয়ার অপরাধে খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছে ৪ টি ছাগল। থানার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য প¬াটফর্ম থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ওই ৪টি ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেনের নির্দেশে ছাগলগুলো খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। আর পুলিশ ওই ৪টি ছাগল দিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোয়াঁড় মালিক মো: পিন্টু।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে চারটি ছাগল সান্তাহার জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে এসে ঘোরাঘুরি করছিল। এমন সময় স্টেশন এলাকা থেকে থানার ফুল গাছ খাওয়ার অপরাধে ওই ছাগলগুলোকে উপজেলার দমদমা গ্রামের পিন্টুর খোঁয়াড়ে দিয়ে আসে পুলিশ। আর ওসি মোক্তার হোসেনের নির্দেশে ছাগলগুলো খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ গত ১৫ ডিসেম্বর সেই ওসির টাকার বিনিময়ে ছাগল ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই তার নির্দেশ ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্য নিজ দায়িত্বে এমন কাজ করতে পারবে না।

এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে তিনি আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন বলে মনে করছেন সংশি¬ষ্টরা। আবার কেউ কেউ বলছেন ফুলের গাছ খাওয়ায় টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় নিউজের পর থেকেই ওসি মোক্তার হোসেন ক্ষোভে ছিলেন। রাগের বশবর্তী হয়ে তার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য এই কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া নিজের অনিয়ম অপরাধ ঢাকতে তিনি লোক দেখান এই কাজ করলেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন।

খোঁয়ার মালিক মো: পিন্টু বলেন, গত মঙ্গলবার ( ১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ এসে ৪ টি ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়ে যায়। পরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ শোধ করে মালিকেরা আমার খোঁয়াড় থেকে ছাগল নিয়ে গেছে।

খোঁয়াড় থেকে ছাগল নিয়ে আসা বিপ¬ব বলেন, আমার শোনা কথা পুলিশ ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়েছিল। ছাগল দুটি লিটন নামের একজনের।পরে লিটন বিষয়টি আমাকে জানালে আমি খোঁয়াড় থেকে ১৪০ টাকা দিয়ে ওই ২টি ছাগল নিয়ে আসি।

স্টেশন কলোনির ছাগল মালিক লিটন বলেন, আমি শুনতে পাই আমার দুটি ছাগল স্টেশনে ফুলের গাছ খেয়েছিল। তাই ফুলের গাছ খাওয়ার অপরাধে প¬াটফর্ম থেকে আমার ২ ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিয়েছিল। পরে খোঁয়াড় থেকে ছাগল নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কারা ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়েছে সেটা আমি জানি না।

এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন মুঠোফোনে বিরক্তের সুরে বলেন, আমি এগুলো জানি না ভাই, কে ছাগল ধরেছিল, কি করেছিল এগুলো আমাকে বলেন না প্লিজ। তিনি বলেন, ছাগল যদি কেউ ধরে থাকে, বিধি নিয়মে ধরেছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশ যদি দিয়ে থাকে, তাহলে দিয়েছে, রাগান্বিত স্বরে বলে সংযোগটি কেটে দেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version