আমাদের সম্পর্কে

সোনার দেশ সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তা-ধারার পত্রিকা হিসেবে ১৯৭০ সালের ১৯ জুন প্রারম্ভিক সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সরদার আমজাদ হোসেন । ওই সময় প্রথম পাতায় বড় হরফে সোনার দেশ লোগোর নীচে শ্লোগান মুদ্রিত হতো ‘গণতান্ত্রিক জীবনবোধের মূল্যায়ন সাধনায় নিয়োজিত প্রগতিশীল সাপ্তাহিক।’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পত্রিকাটি পাকিস্তানি সরকারের কোপারলে পড়ে। তারা পত্রিকা অফিস পুড়িয়ে দেয়।

 

স্বাধীনতা-উত্তরকালে ১৯৮৫ সালে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল হোসেন মালেক নতুন করে সাপ্তাহিক সোনার দেশ প্রকাশ করেন।
১৯৯১ সালে ২১ মার্চ থেকে সোনার দেশ ‘দৈনিক’ হিসেবে প্রকাশনা শুরু হয়। এটা রাজশাহী অঞ্চলের তৃতীয় দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘যা ঘটে তা তুলে ধরার প্রচেষ্টা প্রতিদিন’Ñ শ্লোগান দিয়ে দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার নবযাত্রার সূচনা হয় ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি। নবযাত্রার সূচনা ছিল ২০১ তম সংখ্যা দিয়ে। দৈনিক সোনার দেশ এর নবযাত্রার সূচনা ছিল রাজশাহীর জন্য নতুন একটি দিন। উৎসাহ, উদ্দীপনা ও কৌতুহলের দিন। পত্রিকা জগতে দিন বদলের অঙ্গীকারের দিন।

 

রাজশাহীতে থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনার ইতিহাসে নুতন বাঁক ছিল এদিন। উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার বলিষ্ট কণ্ঠস্বর হিসেবে সোনার প্রকাশনা সমুন্নত রেখে চলেছে। নবযাত্রার সূচনাকাল থেকেই সোনার দেশ বছরে একবার উন্নত ইদ সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে। রাজধানী ঢাকার বাইরে একমাত্র সোনার দেশই উন্নত কলেবরে ইদসংখ্যা প্রকাশ করে থাকে। সোনার দেশ সীমিত আকারে সাহিত্য পাতাও প্রকাশ করে থাকে। এর ফলে রাজশাহী অঞ্চলের সাহিত্যপ্রেমিরা গল্প-কবিতা চর্চার সুযোগ পেয়ে থাকেন। উপ-সম্পাদকীয় কলামে রাজশাহী অঞ্চলের গুণি লেখকরা আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কে লিখে থাকেনÑ যা পাঠকদের জ্ঞানার্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।

 

সোনার দেশ প্রকাশের শুরু থেকেই শ্রেণি, বয়স, লিঙ্গ, স¤প্রদায় ও মতবিশ্বাস-নির্বিশেষে সবার তথ্য ও মতামতের চাহিদার প্রতি সজাগ থেকেছে। এর সম্পাদকীয় নীতির কেন্দ্রে রয়েছে উদার গণতন্ত্র, অসা¤প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল আস্থা ও দায়বদ্ধতা। নারী, শিশু, ধর্মীয় স¤প্রদায় বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আত্মমর্যাদা ও অধিকারে সোনার দেশ বিশ্বাসী

 

নারী ও শিশু বিষয়ক নীতিমালা

 

সোনার দেশ নারী শিশুদের ব্যাপারে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নীতিমালা মেনে চলে। নারী ও শিশুদের জন্য অমর্যদাকর ও অপমানজনক কিংবা ভীতিসঞ্চারি বিষয়সমূহ পরিহার করে চলে।

লেখা ও ছবিতে নারীর প্রতি লিঙ্গভিত্তি ক বৈষম্য, প্রচলিত ধারণা, সংস্কার, নেতিবাচক ইঙ্গিত বা বার্তা প্রকাশ না করার ব্যাপারে সোনার দেশ সতর্ক অবস্থানে থাকে।
নারীর প্রতি অমর্যাদাকর শব্দ-সমূহ পরিহার করা হয়। যেমনÑ‘মহিলা’ শব্দটির বদলে ‘নারী’ ব্যবহার করা হয়।

 

নাম ও পরিচয়

 

সাধারণভাবে পাচারকৃত নারী বা শিশু উদ্ধার করা হলে তাদের নাম, পরিচয় ও ছবি সোনার দেশ প্রকাশ করে না।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ