ইরান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

(বাঁ দিকে) জো বাইডেন ও শাহবাজ শরিফ। -ফাইল চিত্র।

সোনার দেশ ডেস্ক :


ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির পথে হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে হবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির ইসলামাবাদ সফরের পরে ঠিক এই ভাষাতেই যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তানকে। এই হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের পথে বাধা তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলকে নিশানা করে আকাশপথে ইরানের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে সরগরম বিশ্ব। এর পরে রইসির ৩ দিনের পাকিস্তান সফরে ৮টি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। তার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-সচিব বেদান্ত পটেল এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র কেনার নেটওয়ার্কের বিস্তার যেখানেই ঘটবে, আমরা সেখানে বাধা দেব এবং ব্যবস্থা নেব। ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে যারা যাবে, তাদের বলবো নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাটাও মাথায় রাখতে।’

নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির কারণ সম্পর্কে পটেল বলেন, ‘কারণ, এরা হলো সেই সব সংস্থা, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে। এদের ঘাঁটি চিন এবং বেলারুশে। এরা পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করেছিল।’ অবশ্য কোন সংস্থা, বেদান্ত তা স্পষ্ট করেননি।

জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরান। তারা জানিয়েছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ অল-অদলের ঘাঁটি ধ্বংস করতেই ওই হামলা চালিয়েছিল। এক দিনের মধ্যেই ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান।

সেই চাপানউতোরের আবহে শাহবাজ শরিফের নতুন সরকার গঠনের পরে আচমকাই ইরানের প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক সফর করলেন পাকিস্তানে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ কাশ্মীর প্রসঙ্গ টানতে চাইলেও সাড়া দেননি রইসি। তবে দুই দেশই জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

 

Exit mobile version