এক ছাদের নিচে বিনিয়োগের সব সেবা

আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০১৭, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



একই ছাদের নিচে সব বিনিয়োগ সেবা দেবে সরকার। এভাবে বিনিয়োগ সেবা সহজ করতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস করবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সচিবালয়ে রোববার বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিব ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ১৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারিকরণ কমিশন ও বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) একীভূত হয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গত ১ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিনিয়োগকারী যখন এদেশে আসেন, তাদের অনেকগুলো অনুমতি লাগে, ক্লিয়ারেন্সে প্রয়োজন হয়। যেমন পরিবেশগত ছাড়পত্র, ফায়ার সেফটি ও ট্রেড লাইসেন্স দরকার হয়। টিন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন আইনে, বিধি-বিধানে যে সমস্ত প্রয়োজনীয়তা আছে সেগুলোর জন্য বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়, যোগাযোগ করতে হয়। দীর্ঘ আবেদন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় যেতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময়ও ব্যয় করতে হয়। সেই জিনিসটির জন্য একই জায়গায় আমরা সব সার্ভিসগুলো দেয়ার ব্যবস্থা করছি।’
কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে, অতি অল্প ব্যয়ে এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যাতে দেয়া যায় সেই ব্যবস্থাই আমরা করবো ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘সভায় আলোচনা হয়েছে বিশ্বসভায় যদি আমরা আমাদের অবস্থান উন্নত করতে চাই, তাহলে আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই এই দায়িত্বগুলো নিতে হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ দায়িত্বগুলো পালন করতে হবে।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার দায়িত্বগুলো এবং সেগুলো বাস্তবায়নের কৌশল পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ডুইং বিজনেস ইন বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে উন্নয়ন ঘটাতে পারি সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সচিব ও সংস্থা প্রধানদের নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে (বিনিয়োগ পরিবেশের দিক থেকে) বাংলাদেশে অবস্থান হলো ১৭৮। এবার ১৭৬-এ এসেছি। ১৭৮, ১৭৪, ১৭৬ এই অবস্থানগুলোর মধ্যে আমরা ওঠানামা করছি। এ অবস্থানটা আমাদের জন্য সুখকর নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সবাইকে নিয়ে টার্গেট করেছে যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ অবস্থানটা কীভাবে ১০০ এর নিচে (ডাবল ডিজিটে) নিয়ে আসতে পারি তার চেষ্টা করা। এ জন্য আমরা মিটিং করলাম ব্যবসাটাকে কীভাবে সহজ করতে পারি।’