এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ নওগাঁ-৬ দ্বিতীয়বারের মতো আ’লীগের শান্তির দূত হলেন হেলাল

আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২৩, ১২:১৮ অপরাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


চারদলীয় জোট সরকার আমলে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা) এবং জেএমবির সন্ত্রাসী দলের কর্মকাণ্ডের ফলে রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলো নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা। যেটি সংসদীয় আসন-৫১ আর জেলার হিসেবে নওগাঁ-৬। ওইসময়ে দিনে-দুপুরে সর্বহারাদের ‘জবাই’ নামক নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন এই দুই উপজেলার অনেক আ’লীগ সমর্থক ব্যক্তি। এরপর সর্বহারাদের নিধনের নামে চরদলীয় সরকার আবিষ্কার করে জেএমবি নামক আরেকটি সন্ত্রাসী দল।

এরাও সর্বহারাদের নিধন করার নামে লুটপাট- হত্যার তাণ্ডব চালায়। সর্বহারা দলের বড় বড় নেতাদের ধরে পুলিশি পাহারায় প্রকাশ্যে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে নির্মম নির্পাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর কাউকে গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে আবার কাউকে ধানের জমিতে পুঁতে রেখেছিলো। সেই বর্বর সময়ে এই অঞ্চলের মানুষ সন্ধ্যার পর ভয়ে বাড়ির বাইরে বের হতেন না।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার অঙ্গিকার অনুসারে এই অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। কলঙ্কিত রক্তাক্ত জনপদ থেকে বর্তমানে এই অঞ্চলটি শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে।

এই শান্তির জনপদে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো আ’লীগের শান্তির দূত হলেন সর্বহারাদের হাতে জবাই হওয়া তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের বড় ভাই আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। তিনি নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে উন্নয়নের প্রতিক নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। রোববার (২৬ নভেম্বর) চূড়ান্তভাবে তাকে নৌকার মাঝি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর পরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সোমবার তিনি দলীয় প্রার্থীতার চিঠি সংগ্রহ করেন। এসময় রাণীনগর উপজেলার আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আরিফ রাঙ্গাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন।

দ্বিতীয়বার আ’লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আ’লীগের দুঃসময়ে আমার পরিবারই ছিলো এই উপজেলার বাতিঘর। আওয়ামী লীগ করার জন্য আমার ছোট ভাই নজরুলকে হারিয়েছি। তৎকালীন কিছু কুচক্রী মানুষের ইন্ধনে সাবেক এমপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রোষানলের কারণে। আমি প্রথমে ২০০৩ সালে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে নৌকা প্রতিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনরায় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। এরপর ২০২০ সালে ২৭ জুলাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক এমপি ইসরাফিল আলমের মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনে ৩৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মাঝ থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক উপহার দিলে এই অঞ্চলের শান্তিকামী মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে। এরপর থেকে এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের গুরু দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে নিই।

তিনি বলেন আমি বিজয়ী হওয়ার পরই মানবতার মা শেখ হাসিনার দেয়া অঙ্গিকারগুলো সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে এবং এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করে আসছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version