এডিস প্রজননের অনুকূল পরিবেশ পূর্ব সতর্কতা জরুরি

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডেঙ্গু যে এখন আর মৌসুমি রোগ নয়, এটি সবার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এখন বর্ষাকাল চলছে। কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টিপাত, পাশাপাশি গরম আবহাওয়ায় এডিস মশার উৎপাত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এডিস মশার উৎপাত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এসব তথ্য বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপের তথ্যমতে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব নির্দিষ্ট সূচকের চেয়ে বেশি। যা ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কিছুটা কম হলেও মৃত্যুর হার দ্বিগুণ।
রাজধানীর বাইরেও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। রাজধানীতে মশা নিয়ন্ত্রণে নানা রকম তৎপরতা থাকলেও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় তেমন কোনো কার্যক্রমই দৃশ্যমান নয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে এখনই সচেতন হতে হবে। তা না হলে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এদিকে রাজধানীতে মশা নিয়ন্ত্রণে এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে চলছে কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঙ্খিত সুফল পেতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডেঙ্গ ইস্যু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। নানা কারণেই রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। রাজধানীতে ফিরেছেন এবং ফিরবেন যারা, তাদের সবাইকে এডিস প্রজননের উৎসগুলো ধ্বংস করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার আগে মশক নিধনে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
ডেঙ্গুর নতুন উপসর্গগুলোর সঙ্গে বহু মানুষ পরিচিত নয়। গত বছর অসচেতনতার কারণে অনেক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কাজেই কারও জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এডিসের উৎপাত বাড়বে। অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণেই বাড়ছে এডিসের উৎপাত। বস্তুত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কী করণীয়, তা বহুল আলোচিত। কাজেই ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ