সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
মহাদেবপুর প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভোজ্য তেলের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষের দিকে ঝুকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ২ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। সরিষার খেতে এখন হলুদ ফুল ফুটেছে। খেত থেকে ভেসে আসা হলুদ ফুলের মিষ্টি গন্ধে চারিদিক মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। দিগন্তজুড়ে ফুলে ভরা সরিষা মাঠ দেখে কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি।
কৃষকরা জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সোয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। রোদইল গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দীন , মামুনুর রশিদ ও নাটশাল গ্রমের কৃষক জাহেদুল ইসলাম জানান, শুষ্ক মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষ বেড়ে যাওয়ায় দেশে রবি ফসলের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কৃষকরা উপলব্ধি করছেন বোরো জমি ফেলে না রেখে আগাম রবি ফসল ফলানো যায়। এসব জমিতে কার্তিক মাসে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমির আগাছা পরিস্কার করে সামান্য হালচাষ করেই সরিষা বোনা করা যায়। ৮০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পাকা সরিষা কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। এরপর জমি চাষ করে মাঘ মাসে বোরো রোপণ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। ফলে সরিষার মত অতি স্বল্প সময়ের ফসলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, অনুকুল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।