করোনা আবারো সংক্রমণ বাড়াচ্ছে

আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ


সচেতনতার কোনো উদ্যোগ নাই

করোনা ভাইরাস আবারো দেশে সংক্রমণ বাড়াতে শুরু করেছে। এটা উদ্বেগের কারণ বটে। সরকারও এ ব্যাপারে সচেতন আছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মাস্ক পরার বিষয়টিকে যেমন সামনে আনা হচ্ছে, তেমনি নতুন করে ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টিকে মোটেও উপেক্ষা করা নয়- সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকেও তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। কবে ওই সময়ের ব্যবধানে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৩৫ জন। এদিন প্রতি ১০০ জনে নমুনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০৬টি। এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৯ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৮১ জন এবং শনাক্ত ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮২৩ জন। এ তথ্য দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওেয়ছে।

নতুন করোনার কোনো ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও দ্রুত টিকা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দেশব্যাপী আবারো করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য় ও ৪র্থ) বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

১ম এবং ২য় ডোজ টিকা পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ ভ্যাকসিনের নাম এবং তারিখ উল্লেখপূর্বক কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রদান করা হবে। ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে টিকা কার্ড ডাউনলোড করে সঙ্গে নিতে হবে বলে টাস্কফোর্স বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

তবে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে তেমন বিকার নেই। অনেকেই করোনাকালের অবসান হয়েছে এমনটিই ভাবছেন। এই অজ্ঞানতা উদ্বেগেরও কারণ। কেননা নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও করোনা প্রতিরোধে নতুন করে কোনো ধরনের প্রচারণা নাই। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রচারাভিযানের গুরুত্ব বিবেচনায় বিষয়টির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে করোনা নিয়ে সতর্ক বার্তা আবারো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া উদ্যোগটা এখনই নিতে হবে।