কৃষকের লাল গামছার সিগনালে থামলো ট্রেন II দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল কমিউটার

আপডেট: মে ৮, ২০২৪, ৯:০৮ অপরাহ্ণ


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


কয়েকজন কৃষকের ধরে রাখা লাল গামছার ‘সিগনালে’ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পাবনার ঈশ^রদী থেকে রাজশাহী হয়ে রহনপুরগামী আন্ত:নগর কমিউটার ট্রেন। এসময় দু’একজন শিক্ষার্থীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ট্রেন থামানোর কাজে কৃষকদের সহায়তা করে। বুধবার (৮ মে) ট্রেনটি ঈশ^রদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে লোকমানপুর ষ্টেশনের অদুরে এ ঘটনা ঘটে। চালকের দূরদর্শিতা ও এলাকাবাসীর সচেতনতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো প্রায় ১ হাজার যাত্রীসহ কমিউটার ট্রেন।

স্থানীয় কৃষক আজিজুর রহমান, মোঃ আব্দুস সোবহানসহ অন্যরা বলেন, তারা রেলাইন দিয়ে হেঁটে মাঠে কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেললাইনের ওই স্থানে ভাঙা দেখতে পান। ওই সময়ে একটি ট্রেন ওই পথে আসার শব্দ শুনে তারা তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নিকট থাকা লাল গামছা রেললাইনে আড়াআড়িভাবে ধরে ট্রেনটি থামানোর জন্য চেষ্টা করেন। তাদের সিগনাল পেয়ে ট্রেনটি থেমে যায়।

ওই ট্রেনের সহকারী চালক সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, চালক হিসেবে তখন আজিজুর রহমান এবং তিনি নিজে ট্রেন চালানোর দায়িত্বে ইঞ্জিনে ছিলেন। ট্রেনটি লোকমানপুর স্টেশনের আউটার এর কিছুটা আগে পৌঁছালে তারা লক্ষ্য করেন কয়েকজন স্থানীয় এলাকাবাসী একটি লাল গামছা রেললাইনে ধরে রেখেছেন। তাৎক্ষণিক বিচক্ষণতার সাথে তারা ট্রেনটি ওই স্থানেই থামাতে সামর্থ হন। ট্রেন থামানোর পর দেখা যায়, লোকমানপুর স্টেশনের ওই স্থানে রেললাইন প্রায় ৮ ইঞ্চি ভাঙা অবস্থায় ছিল। গতরাতের বৃষ্টিতে রেললাইনের কাঠের স্লিপারের নিচের অংশও ফাঁকা হয়ে ছিল। সকালে অন্য একটি ট্রেন ওই লাইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্থানে রেললাইন ভেঙে যায় বলে ধারণা করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই ভাঙা স্থানে কাঠ ও চটের ছালা দিয়ে খুব ধীরগতিতে ট্রেনটি পার করা হয়।

এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির পানিতে ওই স্থানে রেলাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এ অবস্থায় ওই স্থান দিয়ে ট্রেন চলায় রেলপাত ভেঙে যায়। ঘটনা টের পাওয়ার পর ট্রেন থামানো হয়। এতে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব ঘটে। ধীর গতিতে ওই স্থান দিয়ে ট্রেন চলাচল করলেও বুধবার বিকেল নাগাদ ভাঙা স্থান সংস্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version