সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ক্ষমতার কেন্দ্রে আসা ও যাওয়া নেপালে এত দ্রুত হয় যে বিশ্ব রাজনীতি চমকে যায়। চিন ও ভারতের মাঝে নেপালে ফের প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন শুধু নয় একেবারে দল থেকেই বহিষ্কার করা হল।
সরকারে থাকা দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির তরফে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বহিষ্কার করা হয়েছে কার্য নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি কে।
ওলির বিরুদ্ধে দল বিরোধী অভিযোগ তুলে এনসিপি নেতা মাধব নেপাল ও পুষ্প কুমার দাহাল(প্রচণ্ড) দুই নেতার নির্দেশে ওলি বহিষ্কার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র
নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন,দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে।
অভিযোগ, ওলি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন। চুক্তি মতো এনসিপি অপর গোষ্ঠী পূর্বতন নেপালি মাওবাদী পার্টির নেতা প্রচণ্ড কে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাননি। এর ফলে নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে তীব্র হয় মতবিরোধ। এই বিরোধিতা চলার মাঝেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন বহিষ্কৃত ওলি। তাঁর চাপে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে রবিবার কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি।
এনসিপি তে ওলি বিরোধী গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা মাধব কুমার নেপাল জানিয়েছেন, আমরা দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওলি কে বহিষ্কার করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে নীতিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ওলি আর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থাকার যোগ্য নন। তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিন বছর আগে নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করে নেপালে কমিউনিস্ট পার্টি ও মাওবাদীদের জোট এনসিপি। প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। তবে চুক্তি ছিল পাঁচ বছরের মেয়াদে আড়াই বছর করে দুই দলের প্রধানমন্ত্রী হবে পর্যায়ক্রমে। সেই শর্ত উপেক্ষা করে মাওবাদী নেতা প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন কেপি ওলি।
কে হবেন প্রধানমন্ত্রী ? শর্ত হিসেবে মাওবাদী গোষ্ঠীর নেকা প্রচণ্ডের দাবি আগে। তবে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির তরফে উঠে আসছে মাধব নেপালের নাম। দুই নেতা আগেও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
মাধব নেপাল ভারতের সিপিআইএম ঘনিষ্ঠ ও ভারত সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। ২০১৯ সালে ভারতের কয়েকজন শ্রমিক নেপালে আইন ভাঙার কারণে গ্রেফতার হন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলীর ও বাম দলটি যোগাযোগ করে মাধব নেপালের সঙ্গে। সেই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হয়।
তথ্যসূত্র: kolkata24x7