গাঁজা পরিবহনের রুট রাজশাহী-নওগাঁ একমাসে ২৬৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আপডেট: জুলাই ৩, ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী-নওগাঁ গাঁজা পরিবহনের রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। রাজশাহীসহ বিভাগের অন্য জেলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ২৬৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব গাঁজাসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুধু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুরো জুন মাসজুড়ে ২০৫ টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এরমধ্যে ১৩৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ১১ কেজি ৬১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ১৩০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে, র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৪৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে। স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংবাদ করা।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাঁজা রাজশাহী-নওগাঁ হয়ে অন্য অন্য জেলায় পরিবহন করা হয়। ফলে রাজশাহী-নওগাঁ গাঁজা পরিবহনে রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযানে জুন মাসজুড়ে বিপুল পরিমাণের গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। এসময় গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী বা পরিবহনে যুক্তদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে রাজশাহী-নওগাঁ গাঁজা পরিবহনে রুট হিসেবে ব্যবহার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

জানা গেছে, ৫ মে সন্ধ্যায় নগরীর কাশিয়াডাঙ্গার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া থেকে ৮ কেজি গাঁজাসহ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামি পারুল বেগম (৪২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার মান্দারী গ্রামের হানিফের স্ত্রী। বর্তমানে সে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার ফুলতলী এলাকায় বসবাস করে। ২৮ জুন রাতে পবার কইপুকুরিয়া এলাকায় ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা হলো- বেলপুকুর থানার জোদভাগিরথপুর (আমকুমর) এলাকার মৃত মুসা শাহের ছেলে নাজমুল হক (৪১) ও বেলপুকুরিয়া এলাকার বনি ইসরাইলের ছেলে আবুল কালাম(৫০)। অপরদিকে, আরএমপি পুলিশ ৮ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে।

গত ২১ জুন ভোরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট’র আভিযানিক দল ৬৪ কেজি গাজাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্ততার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা সদরের বসন্তপুরের আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮), এবং বড়জ্বলার জামাল হোসেনের ছেলে শাওন (২১)।

৮ জুন নওগাঁর নিয়ামতপুরে ১০১ কেজি গাঁজাসহ নিয়ামতপুর উপজেলার সন্তোষপাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে টুয়েল মন্ডল ও বাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী (পশ্চিম) এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে সুমন বাপ্পিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি পুলিশকে গ্রেফতারকৃতরা জানান গাঁজার চালানটি কুমিল্লা থেকে নওগাঁর ছাতড়া এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
তার আগের দিন নওগাঁর পতœীতলায় ৪৭ কেজি গাজাসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫ রাজশাহী ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পতœীতলা উপজেলার ঘোষনগর এলাকার নবীর উদ্দিনের ছেলে নুর নবী (৩৮), চাঁপড়া এলাকার রামপদ এর ছেলে রজনী কান্ত (৩২) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার দেউপাড়া এলাকার ইসাহাকের ছেলে মো. নবী (৩০)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, সুকৌশলে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক কৌশলে কুমিল্লা জেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হতে সংগ্রহ করে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় মামলা দায়েরের পর আটকৃতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সেলিম রেজা।

এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাকিল আহম্মেদ বলেন, রাজশাহী-নওগাঁ গাঁজা পরিবহনের রুট হিসেবে ব্যবহার করে মাদক কারবারিরা। গত জুনমাসে তারা অভিযান চালিয়ে ১১ কেজি ৬১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ছাড়াও ১৩০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি।

Exit mobile version