শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে গড়ে প্রতি দশ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। এখন গাজায় কোনো স্থানই নিরাপদ নয় এবং সেখানে কেউই নিরাপদে নেই। ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ‘পতনের দ্বারপ্রান্তে’। বার্তাসংস্থা রয়টার্স শনিবার (১১ নভেম্বর) এই খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রাস আধানম গেব্রিয়েসাস জানান, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি দশ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে। এসময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, গাজায় কোনো স্থানই নিরাপদ নয়, সেখানে কেউই নিরাপদে নেই।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, গাজার ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কোনো কাজ করছে না। এখনও যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে, সেগুলোও প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
তেদ্রোস আরো বলেন, গাজার হাসপাতালের বারান্দা পর্যন্ত আহত, অসুস্থদের ভিড় এবং মৃত ব্যক্তিদের লাশ পড়ে আছে। মৃতদেহে উপচে পড়ছে মর্গ। চিকিৎসকরা অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে সশস্ত্র হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনি। তাদের এ হামলা থেকে মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়ি—সহ গাজার কোনো অবকাঠামো বাদ যাচ্ছে না।
গত একমাসে ইসরাইলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ওপর ২৫০ টিরও বেশি এবং ইসরায়েলে ২৫টি হামলা হয়েছে। এতে জাতিসংঘের একশোর বেশি কর্মী নিহত হয়েছেন।
ইরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যেই নিহতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন