গোদাগাড়ীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় তরুণীকে

আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ণ


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:গোদাগাড়ী উপজেলায় তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন আসামি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চাকু দিয়ে আঘাত করে ওই তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ জন্য দুই দিন ধরে তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন। আসামিদের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গোদাগাড়ী মডেল থানা-পুলিশ এ তথ্য জানায়।

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রামে একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় পড়ে ছিল রক্তাক্ত তরুণীর লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনটি ঘিরে রাখে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় নিহত তরুণের সৎভাই, ভাবিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নিহত তরুণীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী নগরে সৎভাইয়ের বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সিআইডি দল সুরতহালের সময় নিহত তরুণীর কাছে একটি মুঠোফোন পায়। সেই মুঠোফোনের সূত্র ধরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তরুণী রাজশাহী নগরে তাঁর সৎভাইয়ের বাসায় থাকতেন। তাঁদের মধ্যে একটি গোপন বিষয় নিয়ে দুই দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। সেই বিবাদের জেরেই তরুণীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তরুণীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গোদাগাড়ীর গোগ্রামে আনা হয়। পরে নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, একটি গোপনীয় বিষয় নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তরুণীর বাবার খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরে থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version