বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
গোদাগাড়ী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে খাদ্যবান্ধব (১০ টাকা কেজির চাল) কর্মসূচির দেড় হাজার কার্ড বাতিল ও তিনজন ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এর ফলে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।
গোদাগাড়ী খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৪১৯ জন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু হতদরিদ্রদের জায়গায় স্বচ্ছ ব্যক্তিদেরকে এ কর্মসূচির কার্ড প্রদানের অভিযোগ ওঠে। তদন্ত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ৯টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৬১৯টি কার্ড বাতিল করে হতদরিদ্রদের মাঝে নতুন কার্ড বরাদ্দ দেয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সবচেয়ে বেশি কার্ড বাতিল করা হয়েছে গোগ্রাম ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের ৩০১জন স্বচ্ছল ব্যক্তির কার্ড বাতিল করা হয়। এর মধ্যে পাকড়ী ইউনিয়নের ২৫০, মাটিকাটা ইউনিয়নে ২৮১, দেওপাড়া ইউনিয়নে ২৭২, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে ২২১, বাসুদেবপুর ইউনিয়নে ১৯, মোহনপুর ইউনিয়নে ৩৮ ও গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নে ৩৪ টি কার্ড বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাওল কবির বলেন, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের আবুল কাশেম ও মাইনুদ্দীন নামের ডিলারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দুইজন ডিলারকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে। এই দুইজন ডিলারের বিরুদ্ধে কার্ডে দুইবার স্বাক্ষর ও টিপ নিলেও একবার চাল দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এর আগে গোগ্রামের মিজানুর রহমান নামের এক ডিলারকে আর্থিক জরিমানা ও স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ বলেন, যাতে করে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ কর্মসূচি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন মনিটরিং অফিসারের পাশাপাশি ইউএনও ও খাদ্য কর্মকর্তা নিয়মিত চাল বিতরণ পরিদর্শন করছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।